চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আবদুল মান্নান (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। মান্নান পেশায় রাজমিস্ত্রী।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আফজলনগর মাস্টার বাড়ি এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। মান্নান ওই এলাকার মৃত আলতাফ মিয়ার ছেলে।
অপহরণের এক ঘণ্টা পর তাকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপর ফেলে চলে যায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আবদুল মান্নানের সাথে তার জেঠাত ভাই সোলতান আহমদ প্রকাশ পেঠান ও আবুল কাশেমের বিগত ৫-৬ মাস ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। বিগত কয়েকদিন আগে স্থানীয় শালিসী বৈঠকে এই বিরোধের মিমাংসা হয়। শালিস অনুযায়ী মান্নান তার জায়গায় টিন দিয়ে ওই জমিতে বেড়া দেয়।
অপহরণের স্বীকার আবদুল মন্নান বলেন, ‘আমি শুক্রবার তারাবিহ’র নামাজ শেষে ঘরে ঢুকে যাই। পরে দেখি সোলতান আহমদের ছেলে বোরহান উদ্দীন ও তার খালাত ভাইয়ের নেতৃত্বে ১০-১২জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে ঘরের দরজা খুলতে বলে। আমি দরজা খোলার সাথে সাথে তারা আমাকে মারধর শুরু করে। পরে টেনে-হিঁচড়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে তারা। গাড়িতে তারা আমাকে মারধর করতে করতে মহাসড়কের নয়াখালের মুখ এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে বোরহান আমাকে বলে, এ জায়গা তুই ছেড়ে দিবি, কোনো কথা বলবি না। এ সময় বোরহানের সাথে থাকা অন্যান্যরা আমাকে কিল-ঘুষি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পরে আমাকে ছেড়ে দিলে আমি রিক্সা যোগে আমার বাড়ির পার্শ্ববর্তী বোনের বাড়ি চলে আসি। এছাড়া তারা আমার বাড়ির চতুর্দিকে দেওয়া বেড়া ভাংচুর করে। পরে পুলিশ আসলে আমি বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলি। এ ব্যাপারে আমি থানায় মামলা করবো।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সাতকানিয়া থানার এসআই রমজান আলী বলেন, ‘জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উক্ত ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা পর অপহরণকারীরা আবদুল মন্নানকে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
এমএফও