টাকার বিনিময়ে সাতকানিয়ার ১৭ নং সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের রেজুলেশনে এক এলডিপি নেতাকে ‘আওয়ামী লীগ’ সাজিয়ে মনোনয়ন দানের জন্য স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে মনোনয়ন বাণিজ্যের কুশীলব হিসেবে পরিচিত কয়েকজন নেতার হাত দেখছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এই এলডিপি নেতার নাম জসিম উদ্দিন। অভিযোগে জানা গেছে, ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশ কাটিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ‘টাকার বিনিময়ে’ রেজুলেশন তালিকায় এলডিপি নেতা জসিম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব করেছেন এক নম্বরে।
সোনাকানিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম গত ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ড বরাবরে পাঠানো এক চিঠিতে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে এলডিপি নেতা জসিম উদ্দিনের নাম ১ নম্বরে প্রস্তাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ওই চিঠিতে লেখা হয়— ‘জসিম উদ্দিন একজন নির্বাচনপাগল মানুষ। নিজ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে নির্বাচন করে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। কর্নেল অলি আহমদের হাতে এলডিপিতে যোগদান করে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করেও তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এমন একজন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিলে ইউনিয়ন আওয়ামী পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’
জানা গেছে, ২০১৪ সালে সাতকানিয়ার কাটগড় বিওসি মোড়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এলডিপির অঙ্গসংগঠন গণতান্ত্রিক যুবদলের বর্ধিত সভা চলাকালে জসিম উদ্দিন এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এলডিপিতে যোগ দেন। এ সময় তার সমর্থক কয়েকজন কর্মীও এলডিপিতে যোগদান করেন।
পরে ওই সভাতেই সদ্য যোগদান করা জসিম উদ্দিনকে এলডিপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অলি আহমদ। সেই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে এলডিপির মনোনয়ন নিয়ে চশমা প্রতীকে নির্বাচন করেন জসিম।
সিপি