চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর ও ২ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার চরতি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর ব্রাহ্মণডাঙ্গা হিন্দুপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আগুনে সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে কেউ বলতে না পারলেও গভীর রাতে আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তের মধ্যে সকল বসতঘর ও দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন ডা. নারায়ন মজুমদার, কানু মজুমদার, দুলাল মজুমদার, গৌতম মজুমদার, নেপাল মজুমদার, বাদল মজুমদার, মাদব জলদাশ ও স্বপন মহুরী। আগুনে ডা. নারায়ণের ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও তাহার ওষুধের দোকানের মূল্যবান ওষুধ, কানুু সওদাগরের দোকানের আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকার মুদি সামগ্রীসহ সকলের সম্পূর্ণ বাড়ি ভষ্মিভূত হয়ে যায়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) একই এলাকায় একই সময়ে অগ্নিকাণ্ডে ১৩ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। শনিবার সংঘটিত অগ্নকাণ্ডের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে হলেও রোববারের আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। তবে একাবাসীরা এটা একটি নাশকতা বলে ধারণা করছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মালেক বলেন, আগুনে নগদ টাকাসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল মিলে আনুমানিক ৯০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
চরতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। টিনসেড ও সেমিপাকা বসতঘর ও দোকানের সবকিছু পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ী এবং বাড়ির মালিকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের জন্য সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। প্রতি পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ১ বস্তা করে চাল দিয়েছি।
এএইচ