চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শাহাবুদ্দিন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যামামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ শহীদ ওরফে পা কাটা শহীদকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। এ ছাড়া সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে আজিজুর রহমান (৩৬) নামে অপর এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহীদকে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নের বটতলীর গহিন পাহাড়ী এলাকা এবং আজিজকে একই রাতে সাতকানিয়া উপজেলা মাদার্শা ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া শহীদ সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেওদীঘি এলাকার ফৌজ্জার বাপের বাড়ির মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে এবং আজিজুর রহমান মাদার্শা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মিয়ার বাপের পাড়ার আলী হোসেনের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহেরিন হোসাইন রানা বলেন, গ্রেপ্তার শহীদের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় পুলিশের উপর আক্রমণ, ডাকাতি, বিস্ফোরক, অস্ত্র ও মারামারিসহ ১৭টির বেশি মামলা রয়েছে। তবে সব মামলায় সে জামিনে রয়েছে। এছাড়া শহীদের স্বীকারোক্তি মতে গ্রেপ্তার আজিজ ও শহীদকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, শহীদ ঘটনায় জড়িত থাকলেও সে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। সে খুবই ধূর্ত প্রকৃতির লোক। আশা করি খুব কম সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে সিএনজিচালিত অটো রিক্সা করে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাঁচি ব্যাপারি পাড়ার নুর আহমদের ছেলে মো. শাহাবুদ্দিন (৩৫) নামে এক যুবককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পরদিন সকালে সাতকানিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুবেদার পুকুর পাড় থেকে শাহাবুদ্দিনের পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
ওই ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহাবুদ্দিনের বাবা নুর আহমদ বাদী হয়ে শহীদকে প্রধান আসামি করে দুজনের নাম উল্লেখ করে ও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।