সাতকানিয়ায় চলছে ভোটের ‘প্রতিশোধ’, এলাকায় এলাকায় হামলা-হুমকি-মারধর-ভাঙচুর
গুলিতে চোখ নষ্ট যুবলীগ নেতার
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের নির্বাচনের রেশ না কাটতেই নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোট শেষে রাতে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর ওই রাত ছাড়াও সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিনভর এসব হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ অনেক ঘটনা জানলেও থানায় এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা। গুলির আঘাতে ওই যুবকের চোখ থেঁতলে গেছে। ৪০ থেকে ৫০ জন অস্ত্রধারী হামলা চালায় তার বাড়িতে। এওচিয়া ইউনিয়নজুড়ে সারাদিন ধরে চেয়ারম্যান আবু ছালেহ ও তার অনুসারীদের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নলুয়া ইউনিয়নে এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলায় এক নারীর নাক থেতলে গেছে। সেখানে অন্তত আট রাউন্ড গুলিবর্ষণও করে অবৈধ অস্ত্রধারীরা। সোনাকানিয়ায় হুমকির মুখে এক আওয়ামী লীগ নেতা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করেছেন। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যবসায়ী আবদুল মোতালেব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।
সদর ইউনিয়নে যুবলীগ নেতাকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কজনক
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের হোসেননগর এলাকায় নৌকার পক্ষে কাজ করায় আরমানুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা। গুলির আঘাতে আরমানের চোখ থেঁতলে গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, জয়নাল আবেদীন নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন অস্ত্রধারী হামলা চালায় আরমানের বসতঘরে। মধ্যরাতে ফিল্মি স্টাইলে আরমানের ঘর ঘিরে এলোপাতাড়ি গুলি নিক্ষেপ করে তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নেজামুদ্দিন মুহাম্মদ নদভীর পক্ষে এজেন্ট ছিলেন যুবলীগ নেতা আরমান ও তার ভাই মো. ইয়াছিন আরফাত। স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের পক্ষে ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন। তিনি একই এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
গুলিবিদ্ধ আরমানের ভাই মো. হাছান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার ভাই (আরমানুল হাছান) নৌকার এজেন্ট ছিলেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জয়নাল আবেদীন। রাত ১১টার দিকে জয়নালের নেতৃত্বে আমাদের বসতঘর ঘিরে হামলা করা হয়। ৪০ থেকে ৫০ জন অস্ত্রধারী নিয়ে আমাদের ঘর লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। হামলার এক পর্যায়ে গাছে চড়ে দ্বিতীয় তলার বেলকনি দিয়ে ঢোকে তারা। সেখান থেকে গুলি করে জয়নাল ও জাহেদ।’
হাছান বলেন, ‘গুলি লাগে আরমানের চোখে ও সারা শরীরে। আমার স্ত্রীর ওপরও হামলা চালায় তারা। এ সময় তার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়।’
আরমানে গায়ে গুলির আঘাতের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাছান। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসরা। নৌকার পক্ষে কাজ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘রোববার রাতে হামলার পর চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় আরমানকে। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে চিকিৎসকরা বোর্ড বসাবে। এরপর অপারেশন করা হতে পারে।’
থানায় মামলা করা হয়েছে কিনা— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য থানায় যেতে পারিনি। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার সময় ওসি সাহেব উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি চিকিৎসা করিয়ে এসে মামলা করার পরামর্শ দেন।’
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনকে ফোন করা হয়। ফোন রিসিভ করে তিনি আবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরে প্রতিবেদককে ফোন করে তিনি বলেন, ‘এটি মিথ্যা কথা। আমি সারাদিন প্রার্থীর সঙ্গে ছিলাম। রাতে আমি চট্টগ্রামে চলে এসেছি। রাতে আমি সেখানে ছিলাম না। ওই এলাকায় আতশবাজি ফাটানো নিয়ে নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের ঝামেলা হয়েছে শুনেছি।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এওচিয়ায় দিনভর হুমকি, মারধর-ভাঙচুর
সোমবার (৮ জানুয়ারি) এওচিয়া ইউনিয়নজুড়ে সারাদিন ধরে ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান আবু ছালেহ ও তার অনুসারী শাহ আলম মেম্বার ও হারুনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মারধর ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, নৌকার পক্ষে কাজ করায় সোমবার এওচিয়া এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী মনিরকে বেদম মারধর করা হয়। এদিকে নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করায় এওচিয়ার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বুলুকে প্রচণ্ড মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় চেয়ারম্যান আবু ছালেহ ও তার অনুসারী শাহ আলম মেম্বার ও হারুন আওয়ামী লীগ নেতা বুলু ও তার ছেলেকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। হুমকির মুখে তারা বর্তমানে সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় গিয়ে আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে শাহ আলম মেম্বারের নেতৃত্বে সাতকানিয়া উপজেলা তাঁতী লীগ নেতা মাইনুদ্দিন চৌধুরীর ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তার বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগে জানা গেছে, এভাবে নৌকার কর্মী-সমর্থক হওয়ায় বিভিন্নজনকে হুমকি-ধমকি দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।
নলুয়ায় অস্ত্রধারীদের মিছিল, এলাকাজুড়ে আতঙ্ক
নলুয়া ইউনিয়নের হাঙ্গরমুখ এলাকায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে এসে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় এক নারীর নাক থেতলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়। হামলার সময় অন্তত আট রাউন্ড গুলিবর্ষণও করা হয় ওই মিছিল থেকে। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাত ৮টার দিকে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিদোয়ানুল ইসলাম সুমন এক ‘আনন্দ মিছিল’ বের করেন। নিজের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল সহকারে তিনি পাশ্ববর্তী নলুয়া ইউনিয়নের হাঙ্গরমুখ এলাকায় ঢুকে বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে উস্কানিমূলক স্লোগান দেন। ওই মিছিলে যোগ দেন শিবির ক্যাডার জামশেদসহ নলুয়ার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। তাদের অনেকের হাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলেও অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। আতঙ্কিত লোকজন জানান, এ সময় স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে পরে পুলিশ এলাকায় আসলে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারীরা এলাকা ছেড়ে পশ্চিম ঢেমশার দিকে চলে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়াও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই মিছিলে আবু বক্করের ছেলে মোরশেদ, ফয়েজ আহমদের ছেলে শিবির ক্যাডার জামশেদ, সিরাজুল ইসলাম ছিদ্দুর ছেলে নুরুল আমিন, ফখরুদ্দিন মিন্টুর ছেলে রোহিত, ইসমাইলের ছেলে কাইয়ুম ও সাঈদ, ছাবের আহমদের ছেলে সমশু, বক্করের ছেলে ইনজামুল হক কলি, আমিন শরিফের ছেলে শফি, জামালের ছেলে শহীদ, আবদুস শুক্কুরের ছেলে আবদুল মুবিন মানিক, জেয়াবুল হক নিদানের ছেলে জাবেদের হাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, ওই মিছিল থেকেই নলুয়া ইউনিয়নের হাঙ্গরমুখ এলাকায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক যুবলীগ নেতা মোক্তার হোসেনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় অন্তত ৮ রাউন্ড গুলিবর্ষণও করা হয়। হামলাকারীরা মোক্তারের বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। হামলাকারীদের আঘাতে মোক্তারের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শিমু আকতারের নাক থেঁতলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওইদিন রাতেই সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়। তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার শিকার যুবলীগ নেতা মোক্তার আহম্মদ বলেন, ‘আমি নলুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাথে জড়িত। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নদভীর পক্ষে কাজ করেছি— সেটাই আমার অপরাধ। কোনো উস্কানি ছাড়া বিজয় মিছিল নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন সুমন চেয়ারম্যান। এ সময় বাচ্চাকে দুধ পান করানো অবস্থায় আমার ভাবী আহত হয়েছেন।’
ওই যুবলীগ নেতা অভিযোগ করেন, ‘সুমন চেয়ারম্যান নির্বাচনের আগেও প্রচার-প্রচারণা চালাতে এসে আমাদের এলাকায় বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিয়েছেন। সুমনের সন্ত্রাসী বাহিনী স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় আমাদের এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে।’
সোনাকানিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা এলাকাছাড়া
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম ও কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মামুনের হুমকির মুখে এলাকা ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দোস্ত মোহাম্মদ টিটু। অভিযোগ পাওয়া গেছে, প্রার্থীর সক্রিয় কর্মী ও ভোট কেন্দ্রে এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করায় সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান জসিমের নেতৃত্বে টিটুর ব্যক্তিগত সার্ভেয়ার অফিসে তালা মেরে দেওয়া হয়।
ঘটনার শিকার দোস্ত মোহাম্মদ টিটু বলেন, ‘নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভয়ে আমি এলাকাছাড়া। আমার অফিসেও তালা লাগিয়ে দিয়েছে তারা। যেকোনো মুহূর্তে আমার পরিবারের ওপর হামলা হওয়ার আশঙ্কায় আছি।’
তবে সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার বলে বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দিই নাই।’
কাঞ্চনায় ইউপি সদস্যকে হুমকি
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে কাঞ্চনা ইউনিয়নের বক্সিখীল এলাকায় বর্তমান ইউপি সদস্য ছগিরের বাড়িতে গিয়ে তাকে হুমকি-ধমকি ও গালাগাল দিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাঞ্চনার চেয়ারম্যান রমজান আলীর নেতৃত্বে এই হুমকি দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। নৌকার পক্ষে কাজ করাই ছগিরের ‘অপরাধ’ বলে জানান তার স্বজনরা।
আরএম/সিপি