সাতকানিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪ বসতঘর লুট, মারধরে আহত দুই গৃহবধূ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চার বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মারধরে দুই গৃহবধূ আহত হয়েছেন। দরজা ভেঙে ও ঘরের বেড়া কেটে ডাকাতের দল ঘরে ঢুকে।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত পৌঁনে ৩টার দিকে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর হাতিয়ারকুল কুদ্দুস সওদাগর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে।

আহতরা হলেন —সৌদিপ্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রীর বেবী আক্তার (২৯) ও মৃত খায়ের আহমেদের স্ত্রী খতিজা আক্তার (৪৯)। এর মধ্যে বেবী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খাদিজাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। 

সোনাকানিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুদ্দুস সওদাগরের ছেলে আব্দুল মোমেন জানান, রোববার  রাত পৌঁনে ৩টার দিকে ওই এলাকায় মুখোশ ও হাফপ্যান্ট পরে এবং অস্ত্র নিয়ে ২৫-৩০ জনের একদল ডাকাত প্রথমে আব্দুল জব্বারের বসতঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে।পরে নগদ ১৪ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার, দেড় হাজার সৌদি রিয়াল, ৫ টি মোবাইল ফোন সেট ও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায় ডাকাতের দল।

পরে পর্যায়ক্রমে মৃত খায়ের আহমদ, নুর আহমদ ও মৃত আলী আহমদ এর ঘরে একই কায়দায় প্রবেশ করে তিনটি মোবাইল ফোন, প্রায় তিন ভরি স্বর্ণালংকার, প্রায় এক লাখ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। 

সৌদিপ্রবাসী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বেবি আক্তার বলেন, প্রথমে দরজা ভেঙে ৭-৮ জনের ডাকাত দল ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে আমাকে ও ঘরের অন্যান্য সদস্যদের জিম্মি করে। আমার যা আছে তা দিয়ে দিতে বলে। এতে আমি গরিমসি করলে লোহার খুন্তি দিয়ে আমাকে মারধর করা হয়। পরে কানে থাকা দুল ও শরীরে থাকা অন্যান্য স্বর্ণালংকার লুটে নেয় ডাকাতদল।

তিনি বলেন, আলমারিতে থাকা নগদ প্রায় ২৬ হাজার টাকা দিয়ে নতুন কেনাসহ হাতে থাকা ২টি মোবাইল ফোন লুটে নেয়। কানের দুল নেওয়ার সময় ডান কানের লতি পুরো এবং বাম কানের লতির প্রায় অংশ ছিড়ে যায়। আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি সোমবার সকালে। এছাড়া আমার পার্শ্ববর্তী চাচী শাশুড়ি খতিজা আকতারকে লোহার খুন্তি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে আহত করে ডাকাতরা। 

নুর আহমদের আরেক ছেলে ও ঢাকায় জুতার কারখানায় কর্মরত মো.জাফর আলম বলেন, ভোররাত ৪টার দিকে আমার স্ত্রী নাজমা আক্তার আমাকে মোবাইল ফোনে ঘরে ডাকাত ঢুকার বিষয়টি জানায়। আমার স্ত্রী মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা দিতে গড়মসি করলে ডাকাত দল আমার বড় মেয়েকে পা দিয়ে চেপে ধরে এবং আড়াই বছরের ছোট ছেলে মো,সোহানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মোবাইল ও টাকা দিতে বাধ্য করে। 

উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল কাদের চৌধুরী ডাকাতির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সাতকানিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. খাইরুল হাসান জানান, ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে তদন্তে এসেছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm