সাঙ্গু-মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শনে পাউবোর প্রতিনিধি দল

পার্বত্য জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রতিনিধি দল।
নদীর ভাঙ্গন রোধকল্পে ডিপিপি প্রণয়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে লামা খালের অংহ্লাপাড়া এলাকা পরিদর্শন করেন কারিগরী কমিটির সদস্যরা। পরিদর্শন শেষে তারা এলাকার নদীরপাড় ভাঙ্গন এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

পরিদর্শনের কারিগরী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পরিকল্পনা-১ বিভাগের পরিচালক ড. শ্যামল চন্দ্র দাস।

প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন, বাপাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী (ডিজাইন) মো. মাজেদুর রহমান, কারিগরি কমিটির সদস্য ও বাপাউবো এর পরিকল্পনা-৩ বিভাগের উপ-প্রধান (মৎস) মো. রহমত আলী, প্রধান পানি ব্যবস্থাপনার দপ্তরের উপ-প্রধান (সমাজবিজ্ঞান) সালমা বেগম, কারিগরী কমিটির সদস্যসচিব ও বান্দরবান পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান ও চট্টগ্রাম পাউবোর গবেষণা কর্মকর্তা (পরিবেশ ও বন) মো. শাফায়েত হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, লামা পৌরমেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহেদ উদ্দিন, লামা রুপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন ও লামা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রফিক।

মঙ্গলবার সকালে পাউবোর কারিগরি সদস্যরা বাংলাদেশ পাউবো লামায় মাতামুহুরী নদীতে নৌকা যোগে ২ কিলোমিটার নদীর ভাঙ্গন পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত নদীর পাড়ে বসবাসকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তারা মাতামুহুরী নদীর উপর মেরাখোলা গার্ডার ব্রিজ ও অংহ্লাপাড়া বাজার গার্ডার ব্রিজ ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।

ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্থানীয়রা নদী পাড়ের সিসি ব্লক স্থাপন, নদীর মাঝখানে ড্রেইজিং করে নদীর পাড়ে আর সিসি ওয়ালের মাধ্যমে রাস্তার তৈরি করার জন্য মত প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে মেয়র মো. জহিরুর ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে লামা পৌরসভা প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত থেকে অনেকাংশ কমে যাবে এবং মাতামুহুরী নদী পাড়ে বসতভিটা ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মসজিদ ও কবরস্থান ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!