সাগরে ফুঁসছে নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় হবে কিনা জানা যাবে শুক্রবার

চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

সাগর এখন উত্তাল। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি ইতিমধ্যে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকেই চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির এই ধারা চলতে পারে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা।

আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, বুধবার রাতেই সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছিল। লঘুচাপটি এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সে কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়ার সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হবে। শুক্র-শনিবারের দিকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে কিনা বা কোন দিকে অগ্রসর হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে শুক্রবার।

বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি প্রথমে নিম্নচাপ এবং দুপুরের পর গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। বিকাল ৩টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। ওই সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

এদিকে গভীর নিম্নচাপটি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় সুন্দরবনের ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!