সাগরিকায় দেশসেরা ইনডোরের দরজা খুলছে মার্চেই, ৬ কোটি টাকা খরচ

৬ কোটি টাকা খরচ করে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বানানো হচ্ছে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর। আগামী এক মাসের মধ্যেই এই ইনডোর চালু হতে যাচ্ছে।

আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের এই ইনডোরে। ১৪২ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৫৮ ফুট প্রস্থের এই ইনডোরে উইকেট থাকবে চারটি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল সিডিএর। কিন্তু এর এক বছর পরেও সেটি পারেনি সিডিএ।

সাগরিকায় দেশসেরা ইনডোরের দরজা খুলছে মার্চেই, ৬ কোটি টাকা খরচ 1

জানা গেছে, দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ও বিপিএলের কারণে কাজ চলেছে ধীরগতিতে। এ কারণেই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি ইনডোরের কাজ। তবে দেরিতে হলেও এর মধ্যেই ইনডোরের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয় ইনডোর তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ইনডোরের ছাউনিসহ বেশিরভাগ কাজ প্রায় শেষ। জাইকার মাধ্যমে টার্ফও এসে গেছে।

চট্টগ্রাম আউটার লিংক রোড ভাটিয়ারী থেকে শুরু হয়ে সাগরিকার স্টেডিয়াম ঘেঁষে পতেঙ্গায় পড়েছে, যা সংযুক্ত হবে কর্ণফুলী ট্যানেলের সঙ্গে। ট্যানেলের ভেতর দিয়ে আনোয়ারা হয়ে কক্সবাজারেও যাবে। এই রাস্তার ফ্লাইওভারের ল্যান্ডিং এক জায়গায় নির্মিত হচ্ছে, যেখানে এক সময়ে ইনডোর ছিল। ফ্লাইওভার তৈরি করতে গিয়ে সিডিএ স্টেডিয়ামের ভূমি অধিগ্রহণ করেছিল। সেখানে পুরাতন ইনডোরটি ছিল।

এরপর থেকে আন্তর্জাতিক মানের ইনডোর ছাড়া সাগরিকা স্টেডিয়াম চলছে প্রায় দুই বছর ধরে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা অন্য কোনো কারণে মাঠে অনুশীলন সম্ভব না হলে ইনডোরেও অনুশীলন করতে পারছেন না ক্রিকেটাররা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!