বর্জ্য অপসারণ করতে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ চ্যানেলে আনা হয়েছে ডুবে যাওয়া ক্লিংকার ভর্তি জাহাজ এমভি টিটু-১৯। জাহাজটি এখন পতেঙ্গা থানার মুসলিমাবাদ বঙ্গোপসাগর কিনারায়। সেখানে পরিবেশ ধ্বংস করে স্কেভেটর লাগিয়ে জাহাজ থেকে সাগরের পানিতে ফেলা হচ্ছিল রাসায়নিক বর্জ্য। একইসঙ্গে চলছিল মেরামতের কাজও।
তবে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হলে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ‘পতেঙ্গার সাগরপাড়ে ফেলা হচ্ছে ক্লিংকারের বিষাক্ত বর্জ্য, ভেসে আসছে মরা মাছ’ এ শিরোনামে প্রকাশিত হয় সংবাদটি।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মুসলিমাবাদ সাগরপাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এ নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযান নেতৃত্ব দেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবুল মনসুর।
অভিযানে জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দুই ব্যক্তিকে নোটিশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
নোটিশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গারচর এলাকায় অবস্থিত আবুল খায়ের ক্যারিয়ার লিমিটেড এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পিএস স্যালভেজ কোম্পানির দুই ঠিকাদার আশরাফুল আলম মাসুদ ও অমল চন্দ্র দাস।
জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবুল মনসুর বলেন, ‘বিনা অনুমতিতে কর্ণফুলী চ্যানেলে ডুবে যাওয়া জাহাজ এনে সাগরের কিনারায় ক্লিংকার বর্জ্য ফেলা ও মেরামত করার দায়ে আবুল খায়ের ক্যারিয়ার লিমিটেড ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পিএস স্যালভেজ কোম্পানির দুই ঠিকাদার আশরাফুল আলম মাসুদ ও বাবু অমল চন্দ্র দাসকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সবাইকে শুনানিতে হাজির হতে বলা হয়েছে। সেখানে তাদেরকে জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে একইস্থানে আরেকটি জাহাজ মেরামত করার দায়ে তাদেরকেও দ্বিতীয়বার নোটিশ দেওয়া হবে। শুনানিতে না আসলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারি মুসলিমাবাদ সাগরপাড় এলাকায় পরিবেশ বিনষ্ট করে অবৈধভাবে জাহাজ কাটা ও মেরামত করার অপরাধে জিল্লুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ পাওয়ার পর শুনানিতে হাজির না হওয়ার তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
মুআ/কেএস