সাকা চৌধুরী ৮০০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন সিঙ্গাপুরে, দুদকের হাতে প্রমাণ

সিঙ্গাপুরে সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর আট হাজার কোটি টাকার খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিএনপির এই নেতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর।

এর আগে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এক বাংলাদেশির পরিচয় উল্লেখ না করে বিপুল পরিমাণ টাকা পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি জানান, কয়েকটি সংস্থার যৌথ অনুসন্ধানে বিপুল এই অর্থের খোঁজ মিলেছে। অর্থ ফেরানোর চেষ্টা করছে সরকার।

তবে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুদকের লিগ্যাল উইং শাখার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ওই বাংলাদেশি হচ্ছেন সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী। চট্টগ্রামের রাউজানের বাসিন্দা এই রাজনীতিবিদ চট্টগ্রাম-২, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৭ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।

দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। অবশ্যই সত্যতা আছে। আরও বেশি টাকা হয়তো আমরা আনতে পারবো। আইনি প্রক্রিয়াটি একটু জটিল। তবে আনা যায়। একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পাচারের মামলা, মানিলন্ডারিং মামলা প্রত্যেকটাই আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।’

মুক্তিযুদ্ধের পর সাকা চৌধুরী দেশ ছেড়ে পালান। তার দাবি, ১৯৭৪ সালের এপ্রিলে তিনি দেশে ফেরেন। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর পাল্টে যায় দেশের রাজনৈতিক চালচিত্র। দেশে ফেরার পর তিনি বারবার দল বদলে ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেছেন। একপর্যায়ে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন সাকা চৌধুরী। সবশেষে তিনি যোগ দেন বিএনপিতে। বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারে (২০০১-২০০৬) প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টাও হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।

২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দণ্ডাদেশ অনুযায়ী সাকা চৌধুরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!