সাংবাদিক সেজে গাড়ি নিয়ে ‘কেরানি’ যাচ্ছিলেন অন্যের জমিজমার ঝামেলা মেটাতে

ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা দুই কথিত সাংবাদিক

0

প্রাইভেট কারের সামনের আয়নায় বড় করে স্টিকার সাঁটানো এবি টিভি। সাংবাদিক পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল পুরো এলাকা। হাটহাজারী বাসস্টেশন মোড়ে আসতেই উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের সামনে পড়ল তাদের গাড়ি। জানতে চাওয়া হল পরিচয়।

আর তখনই জানা গেলো তারা সাংবাদিক নয়, সাংবাদিক পরিচয়ে ফটিকছড়ি যাচ্ছিলেন অন্যের জমিজমার ঝামেলা মেটাতে। হাটহাজারীতে এ রকম নামে-বেনামে সাংবাদিক, প্রেস, অমুক টিভির স্টিকার লাগিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি প্রতিদিন ঘুরে বেড়ায়। তবে ‘ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার’ না থাকায় এ বিষয়ে কিছুই জানে না হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।

জানা যায়, লকডাউনের তৃতীয় দিন একটি প্রাইভেট কারের সামনের আয়নায় কথিত এবি টিভি ও প্রেস স্টিকার লাগিয়ে মো. পারভেজ মিয়া (৩৫) ও মো. মুসলেম উদ্দিন (৪০) অন্যের জমিজমার ঝামেলা মেটাতে ফটিকছড়ি যাচ্ছিলেন। বাস স্টেশন মোড়ে আসতেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফউল্লাহ তাদের আটকে পেশাগত পরিচয় জানতে চান।

s alam president – mobile

এসময় তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও দেখালেন তায়েফ ইন্টারন্যাশনাল সিপোর্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক আইডি কার্ড। পরে তাদের আটক করে থানায় পাঠানো হয় বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরিফুল্লাহ।

তিনি বলেন, আমারা তাদের আটক করে থানায় পাঠিয়েছি। থানা তদন্ত করে তারা প্রকৃত সাংবাদিক কিনা তা যাচাই করে বিষয়টি সমাধান করবেন। এ বিষয়ে হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানালেন অন্য কথা।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এসিল্যান্ড মহোদয় ভালো জানবেন, তার ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা রয়েছে, তিনি কী করেছেন, না করেছেন তিনি জানেন। আমার কোন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই।’ এ বিষয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি ওসি রফিকুল ইসলাম।

Yakub Group

এদিকে হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় দিনভর চলা অভিযানে সরকারি আদেশ অমান্য করে পৌরসভার শাহজান হোটেল খোলা রাখার দায়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা সহ মোট ৪২টি মামলায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে৷

সিএম/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!