সাংবাদিক ফারুক আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার দাবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সাবেক সভাপতি ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ফারুক আবদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে এক যৌথ বিবৃতিতে চবিসাসের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল ও সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের চৌধুরী এই দাবি জানিয়েছেন। এসময় অবিলম্বে এ ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি গত ২৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মৌলভী সৈয়দ আহমদের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ২৭ জুলাই গার্ড অব অনার ছাড়াই দাফন করা হয় মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফকে। এ ঘটনায় বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে দায়ী করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। একইদিন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, ‘বাঁশখালীতে কোন মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। সেখানে কোন মুক্তিযোদ্ধাও নেই। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ফেসবুকে প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফের আত্মীয় সাংবাদিক ফারুক আব্দুল্লাহ বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন মোস্তাাফিজুর রহমানের এক অনুসারী। যা আইনের অপব্যবহার ও নিন্দনীয়।

নেতৃবৃন্দ মনে করে, বাঁশখালীর স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রত্যক্ষ মদদে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে কথা বলায় একজন নিষ্ঠাবান সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এ ধরণের মামালা দায়ের করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এসময় অবিলম্বে এই ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাকে আসম্মান করায় দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।

এমআইটি/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!