চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ও টাইগারপাস সিজিএমওয়াই থেকে ১৮ গ্যালন ডিজেল, ৫০০ লিটার তেল ও ৩৯টি ব্যাটারি পাচারের চেষ্টা করে একটি চক্র গত ৯ ও ১০ জুলাই। খবর পেয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী একটি পিকআপ ভ্যানসহ (ঢাকামেট্রো ন ১৪-৬৪৪৮) ৪ জনকে আটক করে। বিষয়টি নিয়ে রেলের জেনারেল ম্যানেজারের বক্তব্য নিতে চেষ্টা করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। নিয়ম অনুযায়ী রেলের জিএমের বক্তব্য দেওয়ার কথা তার মুখপাত্র বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের (ডিআরএম)।
কিন্তু সেদিন দফায় দফায় ডিআরএমকে ফোন করে, এসএমএস দিয়েও কোনো সাড়া পাননি সাংবাদিকরা। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে আরএনবির কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম ও এসি সত্যজিৎ দাশকে উদ্ধৃত করে সংবাদ প্রকাশ হয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এছাড়াও একাধিকবার গণমাধ্যমে রেলওয়ের উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্যসংগ্রহ ও বিভিন্ন নিউজ সম্পর্কে সরেজমিনে কথা বলার চেষ্টা করলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে দেখা দেননি বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক (পূর্ব) তারেক মোহাম্মদ সামছুল তুষার।
বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলা ডিআরএম নিজে তো বক্তব্য দেননি, তারওপর যারা বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও খেপেছেন। রেলওয়ের পাচারকৃত মালামাল আটক করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওই দুই কর্মকর্তার কাছে লিখিত কৈফিয়ত তলব করেছেন তিনি।
ঘটনার ২০ দিন পর ২৯ জুলাই কৈফিয়ত তলব করে চিঠি দেন তিনি। এর আগে ১৩ জুলাই তিনি গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকতে এ দপ্তরাদেশ জারি করেন। আদেশে তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে মুখ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা প্রদান করেন। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আরএনবির কমান্ড্যান্ট শফিকুল ইসলাম কৈফিয়ত তলবের সত্যতা নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আইন বিষয়ক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রেলের নিয়ম অনুযায়ী ডিআরএম সামছুল তুষার এমন আদেশ দিতে পারেন না। মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এর মুখপাত্র হিসেবে বাহিনীকে কোনো আদেশ দিতে হলে ‘জিএমের পক্ষে’ কথাটি উল্লেখ করতে হবে।
এদিকে আরএনবির একটি সূত্র জানিয়েছে, ডিআরএম কর্তৃক দেওয়া এমন আদেশের ভিত্তি নেই। কারণ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০১৬ পাস হওয়ার পর নিরাপত্তাবাহিনী নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়।
জানতে চাইলে রেল পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি খোঁজ নেবেন বলে জানান।
জেএস/কেএস