সরকার পেঁয়াজ বেচবে অনলাইনেও, নীতিমালা তৈরি

খোলাবাজারের পাশাপাশি অনলাইনেও পেঁয়াজ বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি)। ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় গত বছরের মতো এবারও লাগামহীন হয়ে উঠেছে দেশে পেঁয়াজের বাজার। একদিনের ব্যবধানেই প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার অনলাইনেও পেঁয়াজ বিক্রি করার কথা ভাবছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সহযোগিতায় দেশের স্বনামধন্য গ্রোসারি ই-কমার্স শপগুলো কমমূল্যে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রির সুযোগ পাবে।

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে টিসিবি গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সেখানে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারেন। তবে জনবল সঙ্কটের কারণে খোলাবাজারের এই বিক্রিতে জটিলতা দেখা দিচ্ছে বলে অনলাইনে বিক্রির ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে।

সরকারের আমদানি করা পেঁয়াজের অন্তত ১০ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এর পরিমাণ কম হলেও পরে বাড়ানো হবে। আপাতত ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ অনলাইন শপ থেকে এই কর্মসূচির আওতায় বিক্রি করা হবে।

বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘আমরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে পেঁয়াজ বিক্রি করব। আমরা খুব আশাবাদী যে মাসে অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার টন পেঁয়াজ ই-কমার্সের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে পারব।’

জানা গেছে, ইতিমধ্যে ই-ক্যাব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও টিসিবি যৌথভাবে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরি করেছে। যার অধীনে একটি সমন্বয় ও নজরদারী কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই কমিটি নির্বাচিত অনলাইন গ্রোসারি শপগুলো বিধি মেনে সরকার নির্ধারিত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছে কিনা তা তদারক করবে। অন্যদিকে গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়টি দেখার জন্য ৩ সদস্যের আরেকটি কমিটিও গঠন করা হতে পারে।

পেঁয়াজ নিয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সামাল দিতে টিসিবির মাধ্যমে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবি বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে না।

কিন্তু ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় সরকার এবার টিসিবির মাধ্যমেই এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!