সরকারি সহায়তা ছাড়া একটা ইটও বসানো যেত না, বললেন আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে নগরে কোন ডাস্টবিন থাকবে না। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরের সাড়ে ১৩০০ ডাস্টবিনের মধ্যে প্রায় ৬০০ ডাস্টবিন অপসারণ করেছি। ময়লা-আবর্জনা এলাকা থেকে সংগ্রহ করে সরাসরি স্টেশনে ডাম্পিং করা হচ্ছে। আগামীতে একই ধারাবাহিকতায় সংগৃহীত ময়লা-আবর্জনা সরাসরি স্টেশনে ডাম্পিং করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ৩০ নং মাদারবাড়ি ওয়ার্ড অফিস সংলগ্ন মাঠে কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলামের আয়োজনে জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি ও সিটি করপোরেশন পঞ্চম পরিষদের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একদিনে সবকিছু করে ফেলা সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে সকল কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সমস্যার পাহাড় জমেছিল। আস্তে আস্তে সমস্যাগুলো সমাধান করা হচ্ছে। নগরে এলইডি লাইট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নগরবাসীকে শতভাগ আলোকায়ন সেবা নিশ্চিত করতে সাম্প্রতিক সময়ে ২৬০ কোটি টাকার এলইডি আলোকায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়ে প্রশাসনিক অনুমোদনও পাওয়া গেছে। এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।’

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘১৯৯৫ সাল ২০১৪ সাল পর্যন্ত নগরে ২৫৫০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আর এই চার বছরে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকার কাজ করা হয়েছে। আরো প্রায় ২৩০০ কোটি টাকার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। বছরে কর্পোরেশনের ব্যয় ২৭০ কোটি টাকা। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ধার্যকৃত পৌরকর ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গতবছর ১২৩ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি প্রকল্প সহায়তা না দিতেন তাহলে একটা ইটও বসানো যেত না। সরকার দুটো প্রকল্প জিরো ম্যাচিং ফান্ডে অনুমোদনের পরও অন্যন্য প্রকল্প বাবদ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ম্যাচিং ফান্ড পাওনা রয়েছে।’

কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংরক্ষিত কাউন্সিলর নিলু নাগ, সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

এ সময় সাবেক কাউন্সিলর জহির আহমদ চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, দারোগাহাট মহল্লা কমিটির সভাপতি মো. আবদুস ছবুর, নছু মালুম মহল্লা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সর্দার, মাঝির ঘাট সমাজ সভাপতি আবদুল মতিন, চসিকের সাবেক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুরুল ইসলাম, চিত্রনায়ক পংকজ বৈদ্য সুজন, কামাল গেইট মহল্লা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান, উত্তর নালাপাড়া সর্দার মোহাম্মদ ইলিয়াস, সমতা মহল্লা কমিটি সভাপতি জাফর আহমদ, সমতা মহল্লা কমিটির উপদেষ্টা সৈয়দ শওকত আহমদ, পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড সালিশ কমিটির সদস্য আজিজুর রহমান, দক্ষিণ নালাপাড়া সমাজ কল্যাণ পরিষদ সভাপতি শাহাব উদ্দিন চৌধুরী, পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড সালিশ কমিটির সদস্য এমএ মালেক, মাঝিরঘাট সমাজ উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি নূর মোহাম্মদ, স্টেশন কলোনি সমাজ কল্যাণ পরিষদ সভাপতি জহির উদ্দীন, মাদারবাড়ি ওয়ার্ড সালিশ কমিটির সোলায়মান, সুবল চন্দ্র দাস, রেলী মহল্লা কমিটির আবদুল গফুর সর্দার, মাদারবাড়ি মহল্লা কমিটির সৈয়দ শওকত আহমদ, আশীষ কুমার চৌধুরী, মুহাম্মদ শাহীন চৌধুরী, আনোয়ারুল আলম, মাইজপাড়া সর্দার রুহি দাশসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!