জসিম উদ্দিন। চট্টগ্রামের মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। দুই বছর সেখানকার শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিও ছিলেন। প্রায় সাড়ে ৩৫ বছর ধরে গুপ্তখাল ডিপোতে কর্মরত রয়েছেন তিনি। একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকুরি ও সাবেক সিবিএ নেতা হওয়ায় জড়িয়েছেন তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে। অবৈধভাবে অর্জন করা অর্থের মাধ্যমে সিএমপির ইপিজেড এলাকায় বহুতল ভবণ নির্মাণসহ গড়েছেন অঢেল সম্পদও। এমন অভিযোগ জমা পড়েছে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।
গত ২৯ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর দফতরে এ অভিযোগ জমা পড়ে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের গুপ্তখাল ডিপোর ইলেক্ট্রিশিয়ান পদে যোগদান করেন জসিম উদ্দিন। ২০০৯ ও ২০১০ সালে মেঘনা অয়েলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। দুই বছর পর চাকুরি মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিবিএ নেতা হওয়ার পর থেকে সেখানকার কথিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে আশ্রয় নিয়েছেন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে। তার ও পরিবারের সদস্যের নামে গড়েছেন বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্স। চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা আকমল আলী রোডে রয়েছে ৬ তলা বাড়ি। ভবনের পাশে বিশাল জায়গাজুড়ে নির্মাণ করেছেন লম্বা সারির ভাড়ারঘর। বর্তমানে এ সম্পদের বাজারমূল্যে প্রায় ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা। জসিম ও স্ত্রীর নামে-বেনামে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা সম্পদ থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জসিম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মেঘনা অয়েলে চাকরিকালীন কোনো অবৈধ আয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমার অর্জিত সম্পদের প্রমাণপত্র রয়েছে। আমার শত্রুরাই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারে। যতই তদন্ত করুক আমার কাছে কাগজপত্র রেডি রয়েছে। চাইলে যে কাউকে দেখাতে পারবো।’
এমএফও