গরিবের চাল মেরে মামলা খেল সন্দ্বীপ আওয়ামী লীগের নেতা

৩০ কেজির প্রতিটি বস্তায় মিলেছে ২৪ কেজি চাল। বস্তা প্রতি ৬ কেজি চাল দিয়ে দিতে হত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির ঘরে। শুধু তাই নয়, ২৪ কেজি চাল কিনে নিম্ন আয়ের মানুষকে গুণতে হয়েছে ৩০ কেজি চালের টাকা। নিজের স্ত্রীর নামে ডিলারশিপ নিয়ে এভাবেই সরকারের দেওয়া গরিবের চাল নিজের ঘরে তুলেছেন তিনি।

এ ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নে।

সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আসিফ এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে।

প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হয়েছে মামলা।

রোববার (১৯ এপ্রিল) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রবীন্দ্র লাল চাকমা বাদি হয়ে সন্দ্বীপ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরিফুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ওএমএসের আওতায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরবরাহ করা ১৩২ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়েছে আসিফ মেম্বারের ঘর থেকে। তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ওই এলাকার চালের ডিলার। প্রাথমিক তদন্তে এসব চাল পরিমাণে কম দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে। এ ঘটনায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে।’

আসিফ মেম্বার সারিকাইত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেও নিশ্চিত করেন ওসি।

উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩ বছর আগে আসিফ মেম্বার তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার নামে চালের ডিলারশিপ নিয়েছেন। কিন্তু পরিচালনা করেছেন তিনি নিজে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে নিম্ন আয়ের মানুষের অধিক পরিমাণে ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএস’র চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। এ সময় আসিফ মেম্বার সরকারি ভাবে পাঠানো ৩০ কেজি ওজনের চালের বস্তা থেকে ৬ কেজি করে চাল সরিয়ে নেন। ৩০ কেজি চালের জন্য ৩০০ টাকা করে নিয়ে ২৪ কেজি করে সরবরাহ করেন তিনি। ডিলারশিপ স্ত্রীর নামে হওয়ায় তার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়।

জেএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm