অন্যায়ের প্রতিবাদ করে প্রাণভয়ে ভীত বলে জানিয়েছেন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি এডভোকেট নোমান সিদ্দিকী। তিনি বলছেন, বিপ্লবী আচরণ করায় তাকে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাকে জলদস্যু বা গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা হতে পারে—এমন শঙ্কার কথাও ক্রমাগতভাবে ফেসবুকে নিজের আইডিতে বলে যাচ্ছেন নোমান। এজন্য দলের সিনিয়র নেতাদেরও দায়ী করেন তিনি।
তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর নোমান একজনের দোকানে তালা দিয়েছেন। এই বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডাকা হলে তিনি অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো একটি লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপেও একটি আয়নাঘর ছিল। সেই আয়নাঘর বন্ধ করে দেওয়ায় নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাকে সবার সামনে হেনস্থা করেছেন। আটক করে নিয়ে গেছেন। আমার মালিকানাধীন গ্রীন চিলিজ রেস্টুরেন্টে হামলা করে কিছু মানুষ।’ তিনি বলেন, ‘আমি সংষ্কার চাই। আমি চাই কোন চাঁদাবাজি সন্ত্রাস না থাকুক। এজন্য আমার দলও আমাকে সমর্থন করছে না। প্রশাসনিক ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা আমি বিভিন্নভাবে হুমকী পাচ্ছি। আমাকে হত্যা করা হতে পারে।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা বলেন, ‘ভাই ভাই হোটেল নামে একটা হোটেল আছে তাদের। ওই হোটেল একজনকে ১৫ লাখ টাকা এডভান্স নিয়ে মাসিক ৫০ হাজার টাকা ভাড়াইয় এক বছরের জন্য দিয়েছিলেন তারা। একটা লিখিত চুক্তির মাধ্যমে। ৫ আগস্ট বিকেলে হুট করে সেই হোটেলে তালা দেন তারা।’
ইউএনও বলেন, ‘হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা অভিযোগ দিলে আমরা নোমান সিদ্দিকী ও তার ভাইকে ডাকি। তারা কোন কথা শুনতেও রাজি না। যা তা বলছে। অসংলগ্ন আচরণ করছেন।’
উপজেলা নির্বাহীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নোমান সিদ্দিকী বলেন, ‘১৫ লাখ টাকা নেইনি সেটাতো অস্বীকার করছি না। কিন্তু বিপ্লবীরা কারও কথা শোনে না।’