সন্ত্রাসীর গুলিতে সাংবাদিক ও শিশু আহত সাতকানিয়ায়
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি ইংরেজি পত্রিকার সাংবাদিক ও এক শিশুকে প্রকাশ্যে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা।
গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক হলেন কামরুল ইসলাম (৪৮)। তিনি উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার মৃত এমএ হাসানের ছেলে। অপর গুলিবিদ্ধ শিশু মোহাম্মদ রাফি (৫) একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার এওচিয়ার ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর-পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একটি চায়ের দোকানে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ইংরেজি জাতীয় দৈনিক দি ডেইলি ইভিনিং নিউজে চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় এলাকার মাটিকাটা, বালু উত্তোলন ও ইয়াবার বিরুদ্ধে লেখালেখি করলে একটি মহল তার বিরুদ্ধে আগে থেকে বিক্ষুব্ধ ছিল।
ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসলে চিহ্নিত একটি চক্র তার ওপর হামলা চালায়। এই সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে শিশু রাফিও গুরুতর আহত হয়।
আহত সাংবাদিক কামরুল এবং শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে সাতকানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
কামরুলের ভাই শহিদুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে বাড়ির একটি চায়ের দোকানে বসে চা পান করার সময় হঠাৎ এলাকার চিহ্নিত আবুল হাশেমের ছেলে সন্ত্রাসী আারিফুল ইসলাম মানিক, পিচ্চি মিজান, ডালিম, আবু তাহের, আবিদ, টিপুসহ একদল সন্ত্রাসী এলোপাথাড়ি গুলি করে চলে যায়। এই ঘটনায় আমার ভাই ও দোকানের পাশের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। দ্রুত ওই দোকানের কাছে গিয়ে দেখি, আমার ভাই ও শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছে। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায় তাদের। শিশুর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ।
জানতে চাইলে এওচিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম সাংবাদিক কামরুল ও এক শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।’
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘সাংবাদিক কামরুলের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, সবাইকে গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে প্রশাসন অভিযানে নেমেছে।’
ডিজে
