গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হন শান্তা সূত্রধর। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই অস্ত্রোপচারের পর কন্যাসন্তান পৃথিবীর আলো দেখলেও বাঁচানো যায়নি শান্তাকে। দুপুরে সন্তান জন্ম দিয়ে রাতেই মারা যান তিনি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শান্তা সূত্রধর (২০)। ওইদিন একইসঙ্গে শাকিলা আকতার (২৬) নামের ডেঙ্গু আক্রান্ত আরেক মহিলাও মারা যান।
শান্তার চট্টগ্রাম নগরীর লাভ লেন এলাকার বাসিন্দা। আর শাকিলার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়।
জানা গেছে, ৭ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শান্তা। শারীরিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই তার অস্ত্রোপচার করা হয়। তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তার কিডনি ও হার্ট ভালোভাবে কাজ করছিল না। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে চারদিন আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত শাকিলাকে চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তিনি মারা যান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ জয় জানান, শান্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর। সন্তান জন্মদানের আরও কিছুদিন বাকি ছিল। কিন্তু তার কিডনি ও হার্ট কাজ করছিল না। এ অবস্থাতেই অস্ত্রোপচার করে সন্তান জন্মগ্রহণ করলেও শান্তাকে বাঁচানো যায়নি।
তিনি আরও জানান, শাকিলা চারদিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। চকরিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার শাকিলাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকালে মারা যান তিনি।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২ জন। তারা সবাই চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৭১৪ জন। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪ জন।
আইএমই/ডিজে