চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত সনাতনীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
পুলিশি অ্যাকশানে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা। পরে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ নগরীর লালদীঘি মোড়ে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে; অপর একটি অংশ আদালতত ভবনে আশ্রয় নেয়।
বিক্ষোভরতদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা একপর্যায়ে আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায়ও আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। এসময় আইনজীবীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন
এর আগে, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন নামঞ্জুর হলে প্রায় ৩ ঘণ্টা বিক্ষোভরতরা চিন্ময় কৃষ্ণকে বহনকারী প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পরপরই আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারী এবং আইনজীবীদের একাংশ।
বিশেষ নিরাপত্তায় সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে আইনজীবিরা জামিন চাইলেও বিচারক তা না মঞ্জুর করেন।
এদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে সোমবার সন্ধ্যা থেকেই চট্টগ্রামসহ দেশের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে।
আদালত চত্বরে সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে সনাতনীরা। আদালতের নিরাপত্তা ঠিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালতে পুলিশের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার মতো। আদালতে জামিন না মঞ্জুরের নির্দেশের পর ‘ভুয়া,ভুয়া’ স্লোগান দিতে দেখা যায় সনাতনীদের।
এর আগে, রাতেই ঢাকা থেকে পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয় থেকে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
সেখান থেকে সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটের দিকে বিশেষ নিরাপত্তায় চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে।
এমএহক