সকালে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে বেশি, ২ মাসে অর্ধেকই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা

গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ২ মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় অর্ধেকই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। এ সময়ে ৩০৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৩৪৮ জন। অন্যদিকে দেশে ৭০৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮৪৬ জন এবং আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৭ জন। নিহতের মধ্যে ১২১ জন নারী এবং ৯২জন শিশু।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভোরে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪.৫১ শতাংশ, সকালে ৩১.৩৫ শতাংশ, দুপুরে ১৮.৭৮ শতাংশ, বিকেলে ২০.৩৩ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৬.০৭ শতাংশ এবং রাতে ১৮.৯২ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৪৮ জন, যা মোট নিহতের ৪১.১৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪৩.৩৬ শতাংশ। ১৯৪ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২.৯৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯১ জন, অর্থাৎ ১০.৭৫ শতাংশ।

এ সময়ে ১৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত, ৯ জন আহত এবং ১৫ জন নিখোঁজ আছেন। ৩২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ৩০১টি (৪২.৫১ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে ২৩১টি (৩২.৬২ শতাংশ), আঞ্চলিক সড়কে ১০৫টি (১৪.৮৩ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে ৬১টি (৮.৬১ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ১০টি (১.৪১ শতাংশ) দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬.২৪ শতাংশ ও নিহত ১৭.৭৩ শতাংশ, ঢাকা বিভাগে ২৫.১৪ শতাংশ ও নিহত ২৩.৭৫ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.১২ শতাংশ ও নিহত ১২.৪১ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২ শতাংশ ও নিহত ১৩ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৩২ শতাংশ ও নিহত ৯.৬৯ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.০৬ শতাংশ ও নিহত ৭.০৯ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৪৯ শতাংশ ও নিহত ৬.৫০ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৬০ শতাংশ ও নিহত হয়েছেন ৯.৮১ শতাংশ।

দুর্ঘটনায় যানবাহন ভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৩৪৮ জন, বাসযাত্রী ৫৪ জন, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি যাত্রী ৪৯ জন, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ১৬ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-টেম্পু-লেগুনা) ১৪৩ জন, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম) ৩৩ জন এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী নয়জন নিহত হয়েছেন। এর সঙ্গে নিহত হয়েছেন ১৯৪ জন পথচারী।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!