সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে— ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঠিক একই সময় চট্টগ্রাম শহরে তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল বৃহত্তর চট্টগ্রামের টেকনাফে— ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যশোরে— ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে— ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা পাঁচদিন হাড়কাঁপানো শীতে দেশ কাঁপিয়ে ক্রমেই এখন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাংলাদেশ এবার মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহের দেখা পায় পৌষের চতুর্থ দিন— ১৯ ডিসেম্বর। ওইদিন চুয়াডাঙ্গায় ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা— ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বোরবার থেকেই মূলত তাপমাত্রা বাড়তে থাকে একটু একটু করে। সোমবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলার পর থেকে অবস্থার আরও উন্নতি ঘটতে শুরু করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে চলতি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আসতে পারে আরও দু’টি শৈত্যপ্রবাহ। সেই সঙ্গে ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে আগামী ৭২ ঘন্টার শেষের দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কম থাকলেও আকাশ মেঘাছন্ন থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আবারও শীতের দাপটে কাবু হতে পারে চট্টগ্রাম নগরী।
এর আগে টানা পাঁচদিন চট্টগ্রামসহ সারাদেশে হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে ছন্দপতন ঘটে নগরজীবনে। শীতের থাবায় খুব জরুরি কাজ ছাড়া ঘর ছেড়ে বের হচ্ছে না কেউ। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, বহদ্দারহাট বাসস্ট্যান্ড, লালদীঘিপাড় সহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, ছেঁড়া কাঁথা মুড়িয়ে শত শত ছিন্নমূল শীতের থাবা থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। শীতের কারণে মানুষকূলের মত কাঁপছে পাখপাখালিও। শীতের থাবা থেকে গৃহপালিত পশুকে বাঁচাতে পশুর শরীরে মোটা কাপড় ও চট পড়িয়ে দিতেও দেখা গেছে।
সিপি