সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাবিষয়ক বৈশ্বিক সূচকে আরও এক ধাপ নিচে নামল বাংলাদেশ। ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৫১তম। আগের বছরে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৫০তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও বাংলাদেশের অবস্থান সবার নিচে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) বার্ষিক এই সূচক প্রকাশ করেছে।
২০২০ সালের বিশ্ব সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক বা ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে সবার ওপরে রয়েছে নরওয়ে। আর তালিকায় সবার নিচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া।
নরওয়ে পরপর চার বছর ধরে এই সূচকে প্রথম স্থান পেয়ে আসছে। নরওয়েসহ তালিকার প্রথম পাঁচে থাকা দেশগুলোও ইউরোপেরই। এগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন এবং নেদারল্যান্ডস। অন্যদিকে তালিকার নিচের দিকে থাকা দেশ পাঁচটি হল তুর্কমেনিস্তান, উত্তর ইরিত্রিয়া, চীন, জিবুতি, ভিয়েতনাম ও উত্তর কোরিয়া।
দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর মধ্যে আগের বছরের চেয়ে দুই ধাপ নিচে নেমে ভারতের অবস্থান এবার ১৪২। তিন ধাপ নিচে নেমে পাকিস্তানের অবস্থান এবার ১৪৫। এছাড়া ভুটানের অবস্থান ৬৭, মালদ্বীপের ৭৯, নেপালের ১১২, আফগানিস্তানের ১২২ এবং শ্রীলঙ্কার ১২৭।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার-এর বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন মারাত্মকভাবে বেড়েছে। মাঠ পর্যায়ে সংবাদকর্মীদের ওপর রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ এবং সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা বেড়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বিচারিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নির্বাহীরা। এই আইনে নেতিবাচক প্রচারণার শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। যেসব সাংবাদিক এবং ব্লগাররা সমাজে ধর্মনিরপেক্ষ মত ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে চান তারা উগ্রবাদী ইসলামপন্থীদের হয়রানি, এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছে।
সিপি