‘সংঘর্ষ—ভাংচুর’ চমেকে ছাত্রাবাস দখলের চেষ্টার অভিযোগ নওফেল গ্রুপের বিরুদ্ধে

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুর তিনটার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ৫ অনুসারী আহত হয়েছে বলে ছাত্রলীগের একাংশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও আজম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের দাবি সেখানে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। বরং শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীরা অতর্কিত ছাত্রবাসের বি ব্লকে (নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা যেখানে থাকেন) হামলা চালায়। এর পর থেকেই সেখানে অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পরেন তারা।

চমেক ফাঁড়ির পুলিশও এই ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা নেই বলে জানিয়েছে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘চকবাজার থানার এলাকার চমেক প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ছাত্রবাসের কয়েকটি ভাঙচুর হয়েছি বলে শুনেছি। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রধান ছাত্রবাসের সামনে অবস্থান নিয়েছে।’

জহিরুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘দুপুর তিনটার দিকে দুপক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে লিপ্ত হয়। ওই সময় পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে উভয়পক্ষকে ছাত্রবাস থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।’

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm