চট্টগ্রামে সংঘর্ষের শঙ্কায় উদিত হয়েছে রোববারের (৪ আগস্ট) সূর্য। আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে নগরজুড়ে বিরাজ করছে ভীতিকর পরিস্থিতি। স্বাভাবিকের চেয়ে কম যান চলাচল।
রোববার (৪ আগস্ট) সকালে নগরীর নিউমার্কেট, সিনেমা প্যালেস, কোতোয়ালী, চেরাগী ও আন্দরকিল্লা ঘুরে থমথমে পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। রাস্তায় গণপরিবহন ছিল কম। প্রতিটি মোড়ে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
আজ সকাল ১১টায় নিউ মার্কেট মোড়ে কর্মসূচি রয়েছে আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগের। তবে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেখা মিলেনি কোনো পক্ষের। এমনকি নিউমার্কেট এলাকার আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়েও দেখা যায়নি কোরেনা নেতা-কর্মী। তখনও খোলা হয়নি দলীয় কার্যালয়। অন্যদিকে নিউ মার্কেট কিংবা এর আশেপাশে চোখে পড়েনি কোনো আন্দোলনকারীকে।
এদিকে রোববার ব্যাংক ও অন্যান্য অফিস খুললেও গণপরিবহন কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চাকরিজীবীদের। নিউ মার্কেট মোড়ে ২৫ মিনিট অপেক্ষার পরও গাড়ি পাননি ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুস আনামের। তিনি আগ্রাবাদে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। সাইদুস আনাম বলেন, উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়েছে। অনেকটা হাতে জান নিয়ে বের হয়েছি। গতকাল থেকেই মনে ভয় ঢুকেছে। ২৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাচ্ছি না।
অপরদিকে হাসপাতালগুলোতেও কমেছে রোগীর চাপ। সকালে যেখানে নগরের জেনারেল হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে রোগীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যেত আজ সেই চাপ নেই।
সরজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারে সবমিলিয়ে ৮ জন রোগী অপেক্ষয় আছেন। যা অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, সবার মনে ভয় কাজ করছে। আমরাও আসতাম না, তবে সরকারি চাকরি করি বিধায় আসা লাগছে। না হয় এত ঝুঁকি নিয়ে আসার কোনো মানে হয় না। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রোগীদের মনে ভয় ঢুকেছে। তাই আজ হাসপাতালে চাপ কম।
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নগরজুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকেই বিজিবি ও সেনাবাহিনীর একাধিক গাড়ি নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের এলাকায় টহল দিচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশ।
বিবি