করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে পশু কেনাবেচার হাট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কক্সবাজারে। আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে চালু করা হয়েছে ‘অনলাইন ক্যাটল মার্কেট কক্সবাজার’ নামের একটি ফেসবুক পেজ। হাটে না গিয়ে ঘরে বসেই যাতে পশু কেনাবেচা করা যায় সে লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ সচেতন মহলে ব্যপক সাড়া ফেলেছে।
ফেসবুকে জেলা প্রশাসনের অনলাইন ক্যাটল মার্কেটের পেজে দেখা যায়, ১ জুলাই চালু হওয়া এ অনলাইন হাটে ইতোমধ্যে শতাধিক গরু বিক্রির জন্য সংগ্রহে রাখা হয়েছে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ হাটে কয়েক হাজার কোরবানির পশু পাওয়া যাবে।
কক্সবাজারের ৮ উপজেলার পশু থাকছে এ ফেসবুক বিক্রয় পেজে। আলাদা করে দেওয়া হয়েছে পশুর বয়স, প্রাপ্তিস্থান, মালিকের নাম ও যোগাযোগের নম্বর। ক্রেতারা তাদের পছন্দের পশুর মালিকের সাথে সরাসরি দরদাম করে পশু কিনতে পারবেন। এখানে কোন মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালের সম্পৃক্ততা নেই।
পেজে দেওয়া পশুর ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অনলাইনের মাধ্যমে গরু বিক্রির সুযোগ পেয়ে খুশি। প্রতিদিন হাটে পশুকে একবার নিয়ে আসা নিয়ে যাওয়ার কষ্ট হচ্ছে না। এছাড়াও অনলাইনে হাসিল বা পশুর হাটের ভাড়াও গুণতে হচ্ছে না।
অনলাইন পশুর হাট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘কোরবানির হাটে যাওয়া একটা আনন্দের ব্যাপার এটি সত্য। কিন্তু এ বছর একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজেকে ও পরিবারের আপনজনের নিরাপত্তার স্বার্থে ভিড় এড়িয়েই ধর্মীয় কর্তব্য পালন করতে হবে। কাজেই জেলা প্রশাসনের চালু করা অনলাইন হাট থেকেই পশু কিনব বলে ভাবছি।’
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘ঈদ-উল-আযহা মুসলমানদের অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। এ ঈদে মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা তাদের সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে দেশের অন্যান্য স্থানের মত কক্সবাজারেও বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী-অস্থায়ী হাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হয়। হাটগুলোতে প্রচুর জনসমাগমও হয়। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এসব হাট যথাসম্ভব পরিহার করার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন। সেটি বাস্তবায়নে একটি পশু কেনাবেচার পেজ করেছি। পেজ থেকে পশু পছন্দ করে অনলাইনে দরদাম ঠিক করে পরে দেখেশুনে নেওয়া যাবে। এতে হাটে লোকজনের ভিড় হবে না। করোনা পরিস্থিতিতে এটি সবচেয়ে নিরাপদ ব্যবস্থা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা ভিড় পরিহার করতে চান তাদের জন্য জেলা প্রশাসন অনলাইনে পশু কেনার সুযোগ করে উদ্যোগ নিয়েছে।’
এসএস