ষোলশহরে পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামের ষোলশহর ২ নম্বর গেইটে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাতানামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের টিআই (পাঁচলাইশ) অনিল বিকাশ চাকমা বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বাদি পুলিশ বক্সে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিভিন্ন ধারার সঙ্গে বিস্ফোরক আইনের ধারায় অভিযোগ এনছেন। এজহারে বাদি জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন, সরকারি সম্পদ নষ্ট, সরকারি কাজে দায়িত্বরত ব্যক্তি ও সাধারণ জনতাকে গুরুতর জখম ও হত্যার চেষ্টা এবং জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও উপ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলছেন, ‘এজহার প্রস্তুত হলেও আমরা এখনও অফিসিয়ালি মামলা এন্ট্রি করিনি।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে নয়টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় ট্রাফিক বক্সে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন। আহতরা হলেন- ট্রাফিক সার্জেন্ট আরাফাত, পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আতাউদ্দিন, স্থানীয় দুই যুবক জাহিদ বিন জাহাঙ্গীর ও মো. সুমন এবং আনুমানিক ১০ বছর বয়সী এক শিশু। আহতরা সকলেই আশংকামুক্ত বলে জানা গেছে।

বিস্ফোরণের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের হয়নি। তবে কোনও ধরণের হামলার আশঙ্কায় নগরজুড়ে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সব থানা-ফাঁড়িসহ পুলিশের সকল স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম মোড়ে পুলিশি তল্লাশি করছে পুলিশ।

ঢাকা থেকে আসা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সিএমপি, নগর গোয়েন্দা পুলিশ, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটও তদন্ত করছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!