স্তরে স্তরে সাজানো আতরের বোতল, থ্রিপিস, শাড়ি, কানের দুল ও চুড়ি। এগুলো কেনার জন্য দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন স্টলে। ক্রেতাদের সামাল দিতে ব্যস্ত দোকানিরা।
এমন চিত্র দেখা গেছে ঈদ গ্র্যান্ড এক্সিবিশনে। চট্টগ্রামের পেনিনসুলা হোটেলের ডালিয়া হলে অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপী এই এক্সিবিশনের শেষদিন ছিল সোমবার (৪ জুলাই)।
৫২টি স্টল নিয়ে আয়োজিত এই এক্সিবিশনে ভালোই বিক্রি হয়েছে। দুদিনে প্রায় পাঁচ হাজার দর্শনার্থী এক্সিবিশনে এসেছেন বলে জানান আয়োজকরা।
দর্শনার্থীরা জানান, চট্টগ্রামের উদ্যোক্তারা মানসম্মত একটি এক্সিবিশনের আয়োজন করেছেন। প্রদর্শনীতে থাকা পণ্যগুলোর মানও ভালো।
নানজিবা’স প্রিটি শপের স্বত্বাধিকারী নানজিবা রাইসা বলেন, ‘এক্সিবিশনের দ্বিতীয় দিনে আমাদের বেচাকেনা খুবই ভালো হচ্ছে। যারা স্টলে আসছেন তারাই কিছু না কিছু কিনছেন। বলতে গেলে ১০ জনের মধ্যে ৮-৯ ক্রেতা হিসেবে আসছেন। ঈদ উপলক্ষে এক্সিবিশন থেকে কেনাকাটা করছেন আসছেন প্রায় মানুষ।’
এক্সিবিশনে গ্রামবাংলা ঐতিহ্য তুলে ধরেছে ‘বাগান বিলাস’। তবে এক্সিবিশনে ভালো বিক্রি না হওয়ায় হতাশ এই স্টলের স্বত্বাধিকারী নুসরাত সুলতানা মিম। তিনি বলেন, ‘আমরা মাটির জিনিস নিয়ে কাজ করি। এই এক্সিবিশনে স্টল নিয়েছিলাম অনেক আশা নিয়ে, কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের বেচাকেনা হয়নি। আমরা যে রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে এসেছি সেটা পর্যন্ত এখনও উঠেনি। তাছাড়া রেজিস্ট্রেশন ফি দেওয়ার পরও আমাদের স্টল দেওয়া হয়েছে বাইরে। সেখানে এসিও নাই, প্রচণ্ড গরমের কারণে দর্শনার্থীরা এদিকে আসছেন না। যারা কাপড় ও জুয়েলারি পণ্যের স্টল দিয়েছে তাদের বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।’
গ্র্যািন্ড ঈদ এক্সিবিশনের ইভেন্ট পার্টনার সাদ সাহরিয়ার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুদিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ‘উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম’ নামের একটি গ্রুপ। আজ (সোমবার) এক্সিবিশনের শেষদিনেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। দুদিনে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজারের বেশি দর্শনার্থী এক্সিবিশনে এসেছেন। স্টলহোল্ডারদের বেচাকেনাও খুব ভালো হয়েছে। আশাকরি, আমাদের প্রথম আয়োজন সফলভাবে শেষ করতে পারবো।’
আগামী ডিসেম্বরে আরও বড় পরিসরে চট্টগ্রাম নগরীর রেডিসন ব্লুতে আরেকটি এক্সিবিশনের আয়োজন করবেন বলে জানান তিনি।
‘উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম’র প্রতিষ্ঠাতা ও আয়োজনের মূল পৃষ্ঠপোষক সোনিয়া আজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামের নারী উদ্যোক্তাদের তুলে আনার জন্য আমরা এই এক্সিবিশনের আয়োজন করেছি। স্টলহোল্ডারদের মধ্যে অনেকেই নতুন উদ্যোক্তা। আগামীতে এরচেয়ে বড় পরিসরে এক্সিবিশন আয়োজন করবো আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক্সিবিশনে আরও বেশি দর্শনার্থীর সমাগম করা যেত। কিন্তু পেনিনসুলা হোটেলের পক্ষ থেকে আমাদের অনেক নির্দেশনা দিয়েছেন। যার ফলে আমরা চাইলেও এত বেশি প্রচার-প্রচারণা করতে পারিনি। হোটেলে সমানে একটা ব্যানার পর্যন্ত টাঙাতে দেয়নি আমাদের। তবে প্রায়ই দর্শনার্থী কেনাকাটার উদ্দেশ্যে এক্সিবিশনে এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘এক্সিবিশনে আমরা ৫২টি স্টল দিয়েছি। এই এক্সিবিশনে পোশাক, গহনা, ঘর সাজানোর আনুষাঙ্গিক এবং লাইফস্টাইল ব্র্যা্ন্ডসহ বিভিন্ন পণ্যের সমাহার ছিল। প্রিমিয়াম ব্র্যাসন্ড নিয়ে আমাদের এই আয়োজন করা হয়েছে।’
আরএ/ডিজে