শেষ ফ্লাইটে চট্টগ্রাম এলেন ১১৬, হোম কোয়ারেন্টাইনে এখন ৯৭৩ জন

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শেষ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে চট্টগ্রামে এলেন ১১৬ জন প্রবাসী। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এ নিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসেবে সর্বমোট ৯৭৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে (ঘরে স্বেচ্ছাবন্দি)।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শনিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮ টার ফ্লাইটে ১১৬ জন যাত্রী এসেছেন। আমাদের হিসেবে এ পর্যন্ত ৯৭৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

প্রসঙ্গত, বুধবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্ন্টাইনে ছিল ১০২ জন। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার যাত্রীর স্রোতে তা গিয়ে ঠেকে ৮৫৭ জনে। শনিবারের ১১৬ জন যুক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৯৭৩ জনে।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জামান বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ১১৬ জন যাত্রী নিয়ে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম ল্যান্ড করেছে। সেটি আবার রাত ১০টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে চলে গেছে। ৩১ তারিখ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে আমরা আর কোন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অপারেট করছি না।

জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে কাজ করছি আমরা। প্রতিদিনই প্রবাসীদের ঠিকানায় আমাদের টিম যাচ্ছে। এখন বড় বিষয় হলো সচেতনতা। সবাই যদি আমরা সচেতন থাকি তাহলে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ সম্ভব। না হয় সবাইকেই ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হবে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাজির দেউড়ি আউটার স্টেডিয়াম, জামালখান মোড়সহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে জটলা পাকিয়ে সান্ধ্যকালীন আড্ডার বিরুদ্ধে তারা শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এদিকে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের কিট চট্টগ্রাম এসে পৌঁছলেও তার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়নি রোববার দুপুর ১টা পর্যন্ত। জানা গেছে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বসে কিট ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে ব্যবহার শুরু হবে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!