স্ত্রী ও সন্তানসহ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ ও সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদসহ আরও তিন সাবেক মন্ত্রীর নামে শেয়ারবাজারে থাকা সব বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) জব্দ করা হয়েছে। জব্দ থাকা অবস্থায় এসব বিও হিসাবে শুধু টাকা জমা করা যাবে। কিন্তু টাকা তোলা যাবে না। এ ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রমও চালানো যাবে না।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এসব বিও হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। শেয়ারবাজারের বিও হিসাব সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএলকে ওই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
পরিবারের সদস্য আরও যাদের বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে, তারা হলেন সদ্য ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের স্ত্রী নুরান ফাতেমা হাসান ও মেয়ে নাফিসা জুমাইনা মাহমুদ এবং সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরী, মেয়ে জারা জামান ও জেবা জামান চৌধুরী।
হাছান মাহমুদ ও সাইফুজ্জামান জাবেদ ছাড়াও আরও যে তিন মন্ত্রীর বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে তারা হলেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এর পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও বিও হিসাব জব্দের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এই তিন মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য আরও যাদের বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে, তারা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে সাফী মুদাচ্ছের খান ও মেয়ে সাফিয়া তাসনিম খান, জুনাইদ আহ্মেদ পলকের স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা, মোহাম্মদ আলী আরাফাতের স্ত্রী শারমিন মুস্তারি।
এছাড়া পিরোজপুর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ, তার স্ত্রী উম্মে কুলসুম ও ছেলে সাম্মান জুনায়েদ ইফতির বিও হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ–সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়ম হয়ে থাকতে পারে। পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এসব অনিয়ম রোধ করা প্রয়োজন। এ কারণে ডিপজিটরি আইন ১৯৯৯–এর ১৪ ধারা অনুযায়ী, বিএসইসির ক্ষমতাবলে এসব ব্যক্তির শেয়ারবাজারে থাকা বিও হিসাব পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জব্দ থাকবে।
সিপি