আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বর্তমানে এদেশে ইসলাম ধর্মের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। ইসলাম ধর্মের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি উপজেলায় মডেল মসজিদ, ইসলামিক গবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশের রাজস্ব থেকে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের বেতন-ভাতা দিচ্ছেন। সুতরাং এদেশে একমাত্র শেখ হাসিনার হাতেই ইসলাম ধর্ম নিরাপদ।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান গারাঙ্গিয়া আলিয়া মাদ্রাসার তিন দিনব্যাপী ১০৪ তম বার্ষিক সভার তৃতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এদেশের আলেম সমাজের প্রাণের দাবি ছিল একটি স্বতন্ত্র আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। কিন্তু অতীতে যারা এদেশে ধর্মের ধোঁয়া তুলে ক্ষমতায় এসেছে কেউ সেই দাবি পূরণ করেনি। একমাত্র শেখ হাসিনাই একটি স্বতন্ত্র আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে আলেম সমাজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়ে এদেশে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কথা চিন্তা করে ইসলাম ধর্মের প্রসারের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিশ্ব ইজতেমার জন্য গাজীপুরের টঙ্গীতে জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ইসলাম শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের সমন্বয় করে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠনের মধ্য দিয়ে এদেশের আলেম সমাজকে সাধারণ শিক্ষার মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করেন।
আমিনুল ইসলাম বলেন, পিতার মতো বঙ্গবন্ধু তনয়াও এদেশে আরবী শিক্ষায় শিক্ষিতদের জন্য সরকারি চাকুরীসহ সকল সুযোগ সুবিধায় সমতা আনার লক্ষ্যে কওমি শিক্ষার সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। যার ফলে বাংলাদেশে আজ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও দেশের মূল স্রোতের সম্পৃক্ত হতে পারছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাঠ্যপুস্তকের অনাকাঙ্ক্ষিত ২/১ টি ভুল নিয়ে একটি শ্রেণির মানুষ গুজব রটানোর বিষয়ে তিনি বলেন, কোন ‘মানুষই ভুলের উর্ধ্বে নয়’। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলকে কেন্দ্র করে গুজব রটনাকারীরা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারকে ইসলাম বিরোধী প্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অথচ শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন ধর্মীয় কল্যানমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমেই ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা এবং আলেম ওলামাদের স্বার্থ নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম বলেন, অনাবিল শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনো মানুষে মানুষে হানাহানিকে সমর্থন করে না, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের প্রশ্রয় দেয় না। আজ যারা ইসলামের এই প্রকৃত চেতনাকে পাশ কাটিয়ে দেশে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে ধর্মকে ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে সেই সব ষড়যন্ত্রকারীদের সম্পর্কে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ জানান।