প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে বহনকারী বিমানটিকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে দেওয়া হয়নি। তাকে বহনকারী বিমানটির গন্তব্য এখন পর্যন্ত অজানা।
তার পছন্দের মধ্যে ভারত ও যুক্তরাজ্য সর্বাগ্রে থাকলেও দুটি দেশই তাকে গ্রহণ করতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাজি হয়নি। শেখ হাসিনা এখন বেলারুশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এর আগে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পাইলটরা শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান চালাতে রাজি না হওয়ায় বিমান ছাড়তে দেরি হয়। পরে AJAX 1431 নামের বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এরপর বেলা আড়াইটার দিকে বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে ঢাকায় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি কুর্মিটোলাতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের বহনকারী ওই হেলিকপ্টারের টেইল নাম্বার ৭৬৮২।
বঙ্গভবন ছাড়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তবে ওই সুযোগ পাননি তিনি।
শেখ হাসিনা বঙ্গভবন ছাড়ার পর বেলা তিনটার দিকে হাজার হাজার মানুষ বঙ্গভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েছেন। তারা সেখানে স্বৈরাচারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। উল্লাসরত জনতার অনেকের হাতে গণভবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস দেখা গেছে।
এদিকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ঢাকামুখী লং মার্চে রাজধানীতে প্রবেশ করেছে লাখো জনতা। বেলা সাড়ে ১১টার পর উত্তরা-আজমপুর থেকে যাত্রা শুরু হওয়া এই জনস্রোত তিন ঘণ্টায় বনানী পার হয়। ওদিকে প্রগতি সরণি দিয়েও হাজারো মানুষ তখন যাচ্ছিল শাহবাগের দিকে।
সেনাসদস্যরা আন্দোলনকারীদের কোথাও বাধা দেননি। কোথাও কোথাও সোনবাহিনীর সঙ্গে হাতে মেলাতে, কোলাকুলি করতেও দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।
ওদিকে শাহবাগে জনতার ঢল নেমেছে। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ দখল করেন। পরে চতুর্দিক থেকে মিছিল নিয়ে সেখানে আসেন আন্দোলনকারীরা। শাহবাগে বিপুল পরিমাণ সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ থাকলেও তারা আন্দোলনকারীদের বাধা দিচ্ছেন না।