শীতে করোনার হানার ভয়ে হলিক্রিসেন্ট ও রেল হাসপাতাল বন্ধ হচ্ছে না এখনই

রোগী শূন্যতায় ও করোনার প্রকোপ কমে আসায় চট্টগ্রামের হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল ও রেলওয়ে হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু শীতকে সামনে রেখে করোনা সংক্রমণের আশংকা থাকায় হাসপাতাল দুটিতে করোনা চিকিৎসা বন্ধের সিন্ধান্ত থেকে সরে এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ফলে বর্তমানে কোন রোগী না থাকলেও পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতাল দুটিতে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডের কার্যক্রম চালু থাকবে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রেলওয়ে হাসপাতাল ও হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে করোনা রোগী না থাকার কথা আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করেছিলাম। ফলে হাসপাতাল দুটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে শীতকালে করোনা সংক্রমণের কথা আলোচনা হচ্ছে। শীতকালে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির আশংকা থাকায় হাসপাতাল দুটি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

এর আগে চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেলে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের উদ্যোগে কাইর হোসেন রোডের পরিত্যক্ত হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালকে নতুন করে করোনা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। গত ৫ দিন ধরে এই হাসপাতালে রোগী নেই একজনও। তবে ৪৫ জন চিকিৎসক -নার্স ও অন্যান্য কর্মচারী নিয়ে চলছে হাসপাতালটির কার্যক্রম।

অন্যদিকে রেলওয়ে হাসপাতালে গত এক সপ্তায় চিকিৎসা নিয়েছেন ২ জন রোগী। বিপরীতে এই হাসপাতালটিতে কাজ করছেন ১২ জন চিকিৎসক ও ৯ জন নার্স।

চট্টগ্রামের প্রধান করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে এই দুই হাসপাতাল। রোগী শূন্যতার কারণে এই দুটি হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল জেনারেল হাসপাতালের পক্ষ থেকে। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরও হাসপাতাল দুটি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল।

এআরটি/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!