শিশুদের চক্ষু রোগ বাড়াচ্ছে মোবাইল, চট্টগ্রামে কর্মশালায় সতর্কবার্তা
পুরস্কার পেলেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজীদ এলাকার হাজী পাড়া সরকারি আশেকানে আউলিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মোবাইল আসক্তি হতে বেরিয়ে এসো’ শীর্ষক বিনামূল্যের কর্মশালা। শনিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় আয়োজিত এ কর্মশালায় বক্তারা শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
কর্মশালার প্রধান অতিথি সরকারি আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. মোজাহেরুল আলম বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাদের সুশিক্ষায় গড়ে তোলার দায়িত্ব শুধু শিক্ষকের নয়, অভিভাবকদেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোবাইল আসক্তি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিশেষ করে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের মধ্যে নানা চক্ষুরোগ বাড়ছে, যার প্রধান কারণ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহার। চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন চক্ষু হাসপাতাল ও বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, এখন বয়স্কদের তুলনায় কিশোররাই বেশি চোখের সমস্যায় ভুগছে।
কর্মশালায় ডা. মোজাহেরুল আলম অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, সন্তানের মোবাইল ব্যবহারে সচেতন নজরদারি জরুরি। মোবাইলের বদলে বই, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সমাজকল্যাণমূলক কাজে তাদের উৎসাহ দিতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মাইন্ড ট্রেনিং অ্যান্ড কাউন্সেলিংয়ের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ রিদুওয়ানুল হক হক্কানী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপিকা শেখ কামরুন্নাহার।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষক মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইমরান, মাওলানা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, শিক্ষিকা নুর জাহান, ইসমত আরা, মাওলানা কামাল উদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রহিম, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমাইয়া ও জান্নাতুল মাওয়া মেরী। বক্তারা ইসলামী মূল্যবোধে গড়ে ওঠা জীবনযাপনের আহ্বান জানান এবং শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সহশিক্ষা ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং নাত–এ–রাসুল (সা.) পাঠ করেন হাফেজ মুহাম্মদ নুর খান। কর্মশালার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার বিশেষ প্রতিনিধি আবদুল হান্নান হীরা, রেজাউল করিম ও মুহাম্মদ রাজু আহমদ। কর্মশালার শেষে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনজন শিক্ষার্থী ও তিনজন অভিভাবককে পুরস্কার প্রদান করা হয়।



