আট বছরের এক শিশুকে নির্দয়ভাবে বেদম প্রহারের দায়ে ঘটনার দিন রাতেই এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কামালপাড়া এলাকার আল মারকাযুল কোরআন ইসলামি একাডেমিতে মঙ্গলবার (৯ মার্চ) আট বছরের শিশু ইয়াসিন ফরহাদকে ঠুনকো অযুহাতে বেদম প্রহার করেন শিক্ষক ইয়াহিয়া।
ইয়াসিন উক্ত মাদ্রাসার হেফ্জ (কোরআন মুখস্থ) বিভাগে পড়ে। ঘটনার দিন বিকেলে তার মা তাকে মাদ্রাসায় দেখতে এসে চলে যাওয়ার সময় অবুঝ শিশু মায়ের পিছু পিছু কিছুটা চলে যায়। এতেই শিক্ষক ইয়াহিয়া রেগে শিশু ইয়াসিন ফরহাদকে নির্দয়ভাবে পেটায়। পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার চৌধুরী মাহবুব ভিডিওটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনকে পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই (রাত ১ টা) মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষক ইয়াহিয়াকে আটক করেন। পরে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একইসাথে তাকে মাদ্রাসা থেকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
সে সময় শিশুটির বাবা-মাকেও মাদ্রাসায় ডেকে আনা হয়। অভিযানের সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহিয়াকে নির্দয়ভাবে পেটানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি শিশুটিকে ভয় দেখানোর জন্য পেটানো হয়েছে বলে জানালেও তার কাছে কোন ধরনের অনুশোচনা দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রুহুল আমিন বলেন, ‘একটি হিফজ খানায় শিশু নির্যাতনের একটি ভিডিও রাত সাড়ে বারটার সময় সাংবাদিক চৌধুরী মাহবুব আমাকে দিলে আমি আধাঘন্টার মধ্যে মাদ্রাসায় গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহিয়াকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দিই। তবে শিশুটির বাবা- মা কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য লিখিতভাবো দিলে শিক্ষক ইয়াহিয়াকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক ইয়াহিয়াকে মাদ্রাসা থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। মাদ্রাসার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সিএম/এমএহক