শিব চতুর্দশী মেলার প্রথম দিনে তীর্থ যাত্রীর ঢল সীতাকুণ্ডে

সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ ধামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী শিব চতুর্দশী মেলা। এ উপলক্ষে সীতাকুণ্ডে মঠ মন্দিরগুলো সেজেছে নতুন সাজে। ইতোমধ্যে বিশ্বের দেশ বিদেশ থেকে আগত পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেছেন চন্দ্রনাথ ধামে।

পুণ্য লাভের আশায় তীর্থ দর্শন করতে লাখ লাখ হিন্দু প্রাণ নর-নারী এসময় চন্দ্রনাথ ধামে প্রতিবছর ছুটে আসেন। মেলা চলাকালে সমস্ত আন্তঃনগর ট্রেন সীতাকুণ্ডে ৫ মিনিট করে যাত্রা বিরতি করবে। মহাকাব্য রামায়ন ও মহাভারতে অসংখ্য পুণ্য স্মৃতি বিজরিত সীতাকুণ্ড মহাতীর্থে রয়েছে অসংখ্য মঠ মন্দির।

কথিত রয়েছে একজন হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষ পৃথিবীর সব তীর্থস্থান দর্শন করলেও অন্তত পক্ষে একবার যদি সীতাকুণ্ড তীর্থ ভূমি দর্শন না করে তাহলে তার তীর্থ দর্শন সম্পন্ন হয় না। তাই প্রত্যেক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের চেষ্টা থাকে অন্তত জীবনে একবার হলেও সীতাকুণ্ডের এই মহাতীর্থ দর্শন করার। সারা বির্শ্বের সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ এ কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে আসছে শুরু থেকেই।

প্রতিবারের মতো এবারও লাখ লাখ ভক্তের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চৌধুরী। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসের তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এ মেলা বলেও জানান তিনি।

এদিকে পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে কমিটির পক্ষ থেকে চারদিকে লাইটিং, পানির সু-ব্যবস্থা এবং ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন, বিশ্রামারগারসহ মহিলাদের আলাদা বিশ্রামাগার করা হয়েছে বলে আয়োজক সূত্র জানায়।

মেলায় আসা তীর্থ যাত্রীরা বলেন, এবছর চন্দ্রনাথ শিব মন্দিরে উঠার সিঁড়ি ও সড়কের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন মঠ মন্দির ও সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে। কিন্তু সম্ভুনাথ মন্দিরের মূল ফটকের চারপাশে নির্মাণাধীন কাজের রডগুলো বিপদজনকভাবে রয়েছে। একইভাবে চন্দ্রনাথ ধামে উঠার সিঁড়িগুলোতেও লোহার রডগুলো বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। ফলে এসব স্থানে ধাক্কা খেয়ে তীর্থ যাত্রীরা যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এবিষয়ে মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পলাশ চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, শিবচতুর্দশী মেলাকে ঘিরে সকল ধরণের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা দফায় দফায় বৈঠক ও পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর কাজ করেছি। বাকি কাজগুলো চলমান রয়েছে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!