শিথিল হচ্ছে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’, ১১ আগস্ট থেকে মানতে হবে যেসব শর্ত

মহামারী করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ আর বাড়ছে না। কিছু বিধিনিষেধ দিয়ে সেটি শিথিল করা হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। চলমান লকডাউন আগামী বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রাতে শেষ হচ্ছে। এরপরই খুলে দেওয়া হবে সবকিছু। গত ৩ আগস্ট করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় লকডাউন শিথিল করা নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে লকডাউন তুলে দেওয়ার কথা বলা হলেও কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলার শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিচের শর্তাবলী সংযুক্ত করে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

১. সব সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে।

২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।

৩. সড়ক রেল ও নৌ-পথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।

৪. শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।

৫. সব ধরনের শিল্প-কারখানা চালু থাকবে।

৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

৭. সবক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

এআরটি/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!