১৬৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি শাহ আমিন গ্রুপের দুই পেট্রোল পাম্প বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামকে এসব পাম্পে তেল বিক্রি না করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ইসলামী ব্যাংকের চাক্তাই শাখার ১৬৩ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির তিনটি মামলায় ঋণ পরিশোধ না করায় শাহ আমিন গ্রুপের দুটি পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি তেল সরবরাহ না করতে মেঘনা পেট্রোলিয়ামকে নির্দেশ দেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় একটি ও সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় একটি শাহ আমিন গ্রুপের পেট্রোল পাম্প রয়েছে। দুটি পেট্রোল পাম্প থেকেই আয় আসছে প্রতিষ্ঠানটির। তবে তারা খেলাপি ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসছে না।
জানা গেছে, ২০২১ সালে চট্টগ্রাম ভিত্তিক পরিবহন ব্যবসায়ী কোম্পানি শাহ আমিন গ্রুপের তিন কর্ণধার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমদ নবী চৌধুরী, তার স্ত্রী ও কোম্পানির চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম এবং ছেলে (পরিচালক) সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে তিনটি অর্থঋণ মামলা দায়ের করে ইসলামী ব্যাংক চাক্তাই শাখা।
চলতি বছরের ৬ জুন মামলার তিন বিবাদির বিরুদ্ধে শাহ আমিন উল্লাহ লুব্রিকেন্টস অ্যান্ড গ্রিজের ৬৭ কোটি টাকা পাওনার বিপরীতে ইসলামী ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সেই সময় ২১ জুনের মধ্যে বিবাদিদেরকে পাসপোর্টসহ আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া গ্রুপটির অন্য দুই প্রতিষ্ঠান- শাহ আমিন উল্লাহ অয়েল এজেন্সিসের কাছে ৭০ কোটি এবং শাহ আমিন উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের কাছে ২৫ কোটি টাকা ঋণ ব্যাংকটির আরো দুই অর্থঋণ মামলা চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে লুব্রিকেন্টস অয়েল, গ্রিজ ও ব্র্যাক অয়েল উৎপাদনে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১২৫ কোটি টাকার ঋণ নেয় গ্রুপটি।
আরএস/ডিজে