শনাক্তের খাতায় ৭৬৫, চট্টগ্রামে করোনা কেড়ে নিল আরও ৬ প্রাণ

বেশ কয়েকটি ল্যাবে নুমনা পরীক্ষা না হওয়া সত্বেও চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৫৬৮ জন নগরের এবং ১৯৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। একই সময়ে চট্টগ্রামে করোনা কেড়ে নিয়েছে আরও ৬ জনের প্রাণ। এদের ৪ জনই মহানগরের, বাকি ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

সোমবারের ৭৬৫ জন নিয়ে চট্টগ্রামে শনাক্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭১ হাজার ৬৬৭ জনে। এদের মধ্যে নগরের ৫৪ হাজার ৫২৯ জন এবং ১৭ হাজার ১৩৮ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, করোনায় মারা যাওয়া আজকের ৬ জনসহ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪১ জনে। এদের মধ্যে ৫২১ জন নগরের এবং ৩২০ জন উপজেলার বাসিন্দা।

সোমবার (১৯ জুলাই) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৪৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম নগরের ৬৯ ও উপজেলার ৮ জন জীবাণুবাহক পাওয়া গেছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নগরের ৫৭ ও উপজেলার ২২ জনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়।

এদিকে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৭ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এদের মধ্যে ১০৮ জন নগরের এবং ৯ জন বিভিন্ন উপজেলার। শেভরন ল্যাবে ২৫১টি নমুনায় চট্টগ্রাম নগরের ৬৯ ও উপজেলার ৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরে ২৭ জন ও উপজেলার ২ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬০ নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ২৮ জন নগরের, ৪ জন উপজলার। ইপিক হেলথ কেয়ারে ১২২ নমুনা পরীক্ষায় নগরের ৬১ জন আর উপজেলার ৮ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।

এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কেবল ৩ টি এবং এর সবগুলোতেই নেগেটিভ আসে।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ল্যাবে ৩১ নমুনা পরীক্ষা নগরের ১৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে।

নমুনা সংগ্রহের পরপরই ফলাফল প্রদানকারী এন্টিজেন টেস্টে ৮৬৪ জনের মধ্যে নগরে ১৩১ ও উপজেলাগুলোতে ১৩৮ জন জীবাণুবাহক বলে জানানো হয়।

এদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে চট্টগ্রামের কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে দক্ষিণের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলায় ভয়ঙ্কররূপে দেখা দিয়েছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় বোয়ালখালীতে ৩০ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। পটিয়া করোনা পজিটিভ মিলে ২৮ জনের দেহে। এছাড়া, দক্ষিণের অন্যান্য উপজেলার মধ্যে লোহাগাড়ায় ১৫ জন, সাতকানিয়া ও বাঁশখালীতে ১৩ জন করে, চন্দনাইশে ১১ জন এবং আনোয়ারায় ৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

উত্তরের উপজেলাগুলোর মধ্যে মিরসরাইয়ে সর্বাধিক ২৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া, সীতাকুণ্ডে ১৯ জন, সন্দ্বীপে ১৬ জন, রাউজানে ৮ জন, ফটিকছড়ি ও হাটহাজারীতে ৬ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জনের দেহে মিলে ভাইরাসটির উপস্থিতি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!