শঙ্কা ও সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়ে গেল চট্টগ্রাম সিটির ভোট

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে পেছাতে পেছাতে শেষপর্যন্ত সত্যি সত্যিই শুরু হয়ে গেল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আর ইভিএম মেশিনে টানা আট ঘন্টা ভোটগ্রহণ শেষে আজ সন্ধ্যার আগেই ঠিক হয়ে যাবে, কে বসছেন আগামী পাঁচ বছরের নগরপিতার আসনে এবং নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ডে কারা পাচ্ছেন কাউন্সিলরের পদটি?

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

যথারীতি মেয়র পদের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মধ্যে। তবে মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ৫ জন প্রার্থী। অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপির আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এমএ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এবার ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩। নারী ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন। এবার ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোট কক্ষে এই ভোটাররা ভোট দেবেন। ভোট গ্রহণে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ৭৩৫ জন, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১৪৭০ জন, পোলিং ও কর্মকর্তা ২৯৪০ জন দায়িত্ব পালন করছেন।

৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। তবে ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের আকস্মিক মৃত্যুে পর সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন আপাতত হবে না। নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে।

এর মধ্যেই অবশ্য নগরীর ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি) নগরীর ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪১৭টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় অস্ত্রধারীসহ ছয় জন পুলিশ সদস্য ও ১২ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন। সাধারণ অন্য কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রধারী পুলিশ থাকছেন চার জন ও আনসার সদস্য ১২ জন করে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!