লোক জড়ো করে ইপিজেডে এমপি লতিফের ত্রাণ বিতরণ!

করোনায় সাবধানতার নিয়ম না মেনে ও চরম অব্যবস্থাপনায় জনসমাগম করে ত্রাণ বিতরণ করে উল্টো করোনার ঝুঁকিতে ফেলছেন কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের। চট্টগ্রামের ইপিজেডে এমন কাণ্ড ঘটালেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলি রোড এলাকায় নুরুল আলম সওদাগরের বাড়ির সামনে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেল, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফের পক্ষ থেকে একটি পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হয় শতাধিক নারী-পুরুষ। কে কার আগে ত্রাণ নিয়ে যাবে এই নিয়ে সেখানে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ও পরস্পরের মধ্যে কোন দূরত্বের বালাই নেই।

ত্রাণ নিতে আসা সৈয়দ নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, ‘কারখানা বন্ধ। এখনও বেতন পাইনি। ত্রাণ আসছে কম পরিমাণ, এখানে লোকজন বেশি। তাই দূরত্বে মেনে কি হবে। সবাই ত্রাণ পেতে চায়। আমিও চাই।’

ঘটনাস্থলে থাকা ত্রাণ বিতরণকারী এক কর্মী বলেন, ‘আমরা একাধিকবার দূরত্ব মানার কথা বললেও তারা কিছুতে শুনছে না, আমরা কি করব? থানা থেকে আমরা পারমিশন নিয়েই ত্রাণ দিচ্ছি৷’

এদিকে স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বলেন, এখন প্রাকৃতিক প্রকৃতির কোন দুর্যোগ নেই । এটা সংক্রামক মহামারি। মহামারিতে গরীবদের ত্রাণ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তবে সেটা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিলে ভাল হতো না? এলোমেলোভাবে ও গাদাগাদি করে এই ধরনের ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে গরিব মানুষকে উল্টো করোনার ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে এইসব ত্রাণ বিতরণকারীরা।

এ বিষয়ে ইপিজেড থানার ওসি মীর মো. নুরুল হুদাকে বলেন, ‘লোকজনকে আরও সচেতন করা জরুরি। ত্রাণ দেওয়ার জন্য লোক আসছে সেখানে হুড়োহুড়ি করার কী প্রয়োজন। আমি পুলিশ পাঠাচ্ছি সেখানে।’

মুআ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!