‘টিম টাইগারস’ অবশেষে লালসবুজে রাঙালো ক্রিকেট বিশ্বকাপকে। বিজয়ী অভিবাদন লাল-সবুজের ধারক-বাহককে। উপমহাদেশের বাইরে ক্রিকেট শক্তির অরুণোদয় দেখালো বাংলাদেশ।
আমাদের দ. এশিয়ার দলগুলোর লেজগুটানো দেখে সত্যিই আশার ছবি আঁকতে পারছিলাম না। কিন্তু মাশরাফি কোম্পানি ওভালের সবুজ চিত্রপটে মহাবিজয়ের চিত্র আঁকলেন।
দ. আফিকা জিতেছিল শুধু টসটা, ওভালে ম্যাচের পুরো ১০০ ওভার শাসন করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং এর ৫০ ওভার এবং বোলিং এর ৫০ ওভার জুড়ে। একটি ওভারও দ. আফ্রিকাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়নি।
৫ তারিখের ম্যাচে মিথুনের জায়গায় লিটনকে নিলে দল আরো ব্যালেন্স হবে, অন্তত ইতিবাচক ব্যাটিং এবং আঁটসাঁট ফিল্ডিং এর জন্য। তবে মনে হয় না ম্যানেজমেন্ট উইনিং কন্ডিশন ভাঙবে।
আজ টপ ফেভারিট ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে ‘অননুমেয়’ পাকিস্তান। এটি দুদলেরই ২য় ম্যাচ। বলতে গেলে উড়ন্ত ইংল্যান্ডের সামনে ডুবন্ত পাকিস্তান। পাকিস্তান ‘আকাশে’ সূর্যোদয়ের পূর্বাভাস কোন জ্যোতিষী দিচ্ছে না। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের প্রতিরোধের দেয়ালে কোন ফাটল দেখা যাচ্ছে না। যে নটিংহামে পাকিস্তান উইন্ডিজের কাছে নাকানিচুবানি খেয়েছে, সেখানেই আজ লড়বে ইংল্যান্ডের সাথে। এই মাঠেই ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৮১ রান তুলে ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড করে ইংল্যান্ড। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে এ মাঠে তাদের রয়েছে ৪৪৪ রানের আরেকটি মহাকাব্যিক ইনিংস।
রেকর্ড ভাঙাগড়ার স্বীকৃত বিষয়। পাকিস্তান কে ‘মনের বাঘ’ তাড়াতে হবে আগে। অসুখী পাকিস্তান শিবিরের চিকিৎসা প্রয়োজন হলেও এখনতো সেই সময় নয়।
তা হলে আজ কী আমরা আরো একটা অসম লড়াই দেখতে যাচ্ছি।