লালদীঘির সম্মেলনে ঘুরেফিরে বিএনপি

রাজনীতির মাঠে দৃশ্যমান কোন তৎপরতা নেই, নেতাদের কেউ কেউ প্রেস ব্রিফিং কিংবা বক্তব্য বিবৃতিতে- এরকমই সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি। আওয়ামী লীগ প্রকৃতপক্ষে শক্ত কোন প্রতিপক্ষই মনে করে না বিএনপিকে। তবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রয়োজনে বিরোধীদল হিসেবে আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশে, আদালতে সংসদে বিএনপির কথাই আসে। ৭ ডিসেম্বরের লালদীঘি সম্মেলনও এর ব্যাতিক্রম নয় প্রায় সব বক্তাই ঘুরেফিরে বিএনপিকে এনেছেন।

এ বিএনপি আদালত অঙ্গনকে রণাঙ্গন বানিয়ে দেশে অস্থিতিশীল করে ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার লালদিঘী ময়দানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা কড়া ভাষায় আদালত চত্বরে বিএনপির আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিলের সমালোচনা করেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল মতিন খসরু বলেন, ‘বিএনপি এখন সভা সমাবেশ করতে পারে না, লোক আসেনা। তাই তারা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে। তারা আদালত অঙ্গনে অরাজকতা করতে চাইছে। তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। অন্যদিকে আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে বলেই আমরা ২১ বছর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না পেয়েও ক্ষমতায় এসে সাধারণ আদালতেই এই মামলার বিচার করেছি। কোন ট্রাইব্যুনালও করিনি।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘একটা মামলায় মেডিকেল রিপোর্ট না আসায় সরকার পক্ষের আইনজীবীরা ৭দিন সময় চাওয়ায় তারা আদালতে যে হাঙ্গামা করেছে তা নজিরবিহীন। অথচ খালেদা জিয়া নিজেই এই মামলায় ১০৮ বার সময় নিয়ে মামলার বিচারকাজ দীর্ঘায়িত করেছেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ একবার সময় চাওয়ায় তারা যা করেছে তা আদালত ও আইনের শাসনের প্রতি চরম অবজ্ঞা।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যাথা ও তারেক জিয়ার মামলায় ঘুরপাক খাওয়া বিএনপি ইস্যু না পেয়ে আদালতে যে অরাজকতা করেছে আদালত ও আইনের শাসনের সম্মান রক্ষা করতে হলে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।’

তবে আদালতকে রণাঙ্গন বানিয়ে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবেনা দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা হাঙ্গামা করবেন, অরাজকতা করবেন আর আমরা কি ঘরে বসে আঙ্গুল চুষবো? ’

সকাল সাড়ে ১১ টায় লালদিঘী ময়দানে শুরু হওয়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!