লর্ডসে অসি পেস তোপে দিশেহারা ইংল্যান্ড

২৫৮ রানেই থেমে গেল ইংলিশরা

এজবাস্টন থেকে লর্ডসে এসেছে অ্যাশেজের লড়াই। কিন্তু ভেন্যু পরিবর্তন হলেও মনে হয় ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি ইংল্যান্ডের। প্রথম দিন বৃষ্টির তাণ্ডবের পর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই হলো টস। সেই টস জিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকেই ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক টিম পেইন। ভেজা উইকেট, একদিন কাভারে ঢাকা ছিল, তাই প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অসি অধিনায়ক।

তার ধারণা সত্যি প্রমাণ করে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা শুরুতেই চেপে ধরে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপকে। একমাত্র ওপেনার ররি বার্নস আর শেষ দিকে বেয়ারস্টো ছাড়া কেউ দাঁড়াতে পারেনি অসি বোলারদের সামনে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে হারাতে শেষ পর্যন্ত ২৫৮ রানেই নাই হয়ে যায় ইংলিশদের প্রথম ইনিংস। দিনের বাকি সময় ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া এজবাস্টনে রান না পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নারকে হারিয়ে ৩০ রান করে।

এজবাস্টনে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিলেন নাথান লায়ন। লর্ডসে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা। গতি নয়, নিখুঁত লাইন-লেন্থেই ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছেন তাঁরা। চোটপ্রবণ জেমস প্যাটিনসনের বদলি হিসেবে গতির ঝড় তুলতে সক্ষম মিচেল স্টার্ককে না নিয়ে জস হ্যাজলউডকে নেওয়াই হয়েছে জায়গা বুঝে বল করার সামর্থ্য আছে বলে। সেটি তিনি কাজে লাগালেনও, নিয়েছেন ৩ উইকেট। সমানসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন কামিন্স ও লায়ন।

লর্ডসে বার্নসের পর বেয়ারস্টোর অর্ধশতকে আড়াইশোর গণ্ডি পেরুতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।
লর্ডসে বার্নসের পর বেয়ারস্টোর অর্ধশতকে আড়াইশোর গণ্ডি পেরুতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ড।

এক পর্যায়ে ১৩৮ রানেই ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। সেখান থেকে রানটা ২১০-এ নিয়ে গেছেন জনি বেয়ারস্টো ও ক্রিস ওকস। পাল্টা আক্রমণ করে ৭২ রানের জুটি গড়ে কোনোভাবে রক্ষা করেছেন ইংল্যান্ডকে। ওকস ফিরেছেন ৩২ রানে। ইংলিশদের ত্রাণকর্তা হিসেবে ৫২ রান করে লায়নের শিকারে পরিণত হন বেয়ারস্টো।

লর্ডসের মেঘলা আকাশের নিচে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই আগ্রাসী জেসন রয়কে শূন্য রানে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান হ্যাজলউড। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি অধিনায়ক জো রুট। ১৪ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন হ্যাজলউডের লেন্থ থেকে ভেতরে আসা বলে।

শুরুর ধাক্কাটা কিছুটা হলেও সামাল দিয়েছিলেন জো ডেনলি ও ওপেনার রোরি বার্নস। হ্যাজলউড তৃতীয়বারের মতো আঘাত করার আগে ৬৬ রান যোগ করেন এই জুটি। ৬৭ বলে ৩০ রান করা ডেনলিকে হ্যাজলউড আউট করলে ইংলিশ মিডল অর্ডারের দুয়ারটা সেখানেই খুলে যায়। একে একে আউট হন দুবার জীবন পেয়ে ৫৩ রান করা রোরি বার্নস, জস বাটলার ও বেন স্টোকস।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!