চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় ১০ চাকাবিশিষ্ট লরি গাড়ির ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী মারা গেলেন ঘটনাস্থলেই। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও তিনজন।
২৪ অক্টোবর (রোববার) রাত ৮টার দিকে লোহাগাড়ার আমিরাবাদ রাজঘাটা এলাকার রাজমহল কমিউনিটি সেন্টারের সামনে লরি গাড়ির ধাক্কায় ওই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু ছাড়া তিনজন গুরুতর আহত হওয়ার এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী সাখাওয়াত হোসেন (২৪) লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ দর্জি পাড়া এলাকার মুহাম্মদ আবদুল মান্নানের পুত্র।
আহতরা হলেন— লোহাগাড়ার আমিরাবাদ মতওয়াল্লী বাড়ির মুহাম্মদ মুসার পুত্র মুহাম্মদ ফরহাদ (২২),পদুয়া ইউনিয়নের নাওঘাটা এলাকার মুহাম্মদ ইসমাঈলের পুত্র মুহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম (২২) এবং পদুয়া ইউনিয়নের আলি সিকদার পাড়া এলাকার মুহাম্মদ টুনু মিয়ার পুত্র মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (১৮)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৪ জন মোটরসাইকেল আরোহী দুটি মোটরবাইকে পদুয়া বাজার থেকে বটতলী স্টেশনে আসছিলেন। মোটর বাইক দুটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আমিরাবাদ রাজঘাটা রাজমহল কমিউনিটি সেন্টারের কাছাকাছি পৌঁছলে কক্সবাজার অভিমুখী লরিটি মোটরসাইকেল আরোহীদের পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা সবাই মুহূর্তেই ছিটকে পড়েন। সাখাওয়াত হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
অন্যদিকে আহত তিনজনকে স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। তবে অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশের ওসি মুহাম্মদ আব্দুর রব জানান, বিষয়টি আমাদেরকে কেউ জানায়নি। তবে কেউ যদি আমাদের কাছে অভিযোগ করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নুরুল ইসলাম ডালিম বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সন্ধ্যার পর চলাচল করা লম্বা লরি গাড়ি গুলো ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। পর্যাপ্ত লাইট দিয়ে গাড়ির দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান না করায় বিপরীত মুখের গাড়িচালক বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালক ও সাধারণ মানুষ প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে গাড়ীর মালিকপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের আরও তৎপর হওয়া জরুরি বলে মনে করি।
সিপি