রয়েল টিউলিপ হোটেলের সুইমিংপুলে শিশুর মৃত্যু, ৫ তারকার হাল দেখে অবাক সবাই

৫ মাস আগে একইদিনে দুই তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়

কক্সবাজারের ইনানী সৈকতের পাঁচ তারকা মানের রয়েল টিউলিপ সি পার্ল হোটেলের সুইমিংপুলে গোসল করতে নেমে মারা গেছে এক শিশু।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হোটেলটি পরিচালনায় নিরাপত্তাসহ অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে।

ওই শিশুর নাম মারিয়া চৌধুরী। সাত বছর বয়সী শিশুটি মা সাবিনা ইয়াসমিন চৌধুরীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল কক্সবাজারে। তারা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী শিশুটির মর্মান্তিক মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘হোটেলটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকলে এরকম অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা ঘটার কথা নয়। ’

ওসি জানান, একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেলের সুইমিংপুলে নিরাপদে গোসলের কী কী ব্যবস্থা রয়েছে তার বিস্তারিত জানার জন্য ইতিমধ্যে হোটেলের ব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে থানায় নোটিশ দিয়ে ডাকা হয়েছে। শনিবার সকালে তাদের থানায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, সুইমিংপুলে প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নিরাপদ গোসল করার জন্য কোনো নির্দেশিকা সেখানে নেই। সতর্ক করার জন্য কোনো নিরাপত্তাকর্মীও নেই। এ ছাড়াও ওয়াটার পার্ক নামের যে বিনোদন কেন্দ্রটি রয়েছে সেখানেও অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে দর্শনার্থীদের ভোগান্তির অভিযোগও উঠেছে।

এর আগে চলতি বছরের ১৮ মে হোটেল রয়েল টিউলিপে একইদিনে ২ পর্যটক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই দুই পর্যটক তরুণীর নাম লাবনী আকতার (১৯) ও মারফুয়া খানম (২৩)।

জানা গেছে, গত ১৮ মে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর লাবনী আকতার (১৯) নামক এক পর্যটক তরুণীর মৃত্যু হয়। গত ১১ মে ঢাকা থেকে চার বন্ধুর সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে এসে কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল বিচ হলিডে-তে উঠেন ওই তরুণী। গত ১৪ মে সকালে সেখানে অতিরিক্ত মদ্যপানে তরুণীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে সাথে থাকা বন্ধুরা তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

ওই একইদিন সকালে মারফুয়া খানম (২৩) ও নাছির উদ্দিন (২৬) নামে দুইজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেল রয়েল টিউলিপে উঠেন। এরপর তারা ব্যাগসহ অন্যান্য জিনিসপত্র হোটেল কক্ষে রেখে সমুদ্র সৈকতে নামেন। দুপুরে খাবার শেষে নিজেদের কক্ষে অবস্থান নেন দুজন। বিকেলে নাছির উদ্দিন নামক যুবক হঠাৎ তরুণীর শ্বাসকষ্টজনিত গুরুতর সমস্যার কথা জানালে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তরুণী মারফুয়া খানমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা আদৌ স্বামী-স্ত্রী নন— প্রেমিক-প্রেমিকা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm