কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্যাম্প-১৪-এ এক জন, ক্যাম্প-১০-এ চার জন, ক্যাম্প-৯-এ এক জন বাংলাদেশিসহ তিন জন, ক্যাম্প-৮-এ এক জন এবং ক্যাম্প-১ডব্লিউ-তে এক জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন ক্যাম্প-৮ই এর মোহাম্মদ হারেস (২), ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট এর মোছা. পুটনী (৩৪), ক্যাম্প-৯, ব্লক- বি/১৪ এর মো. হোসেন আহমেদ; ক্যাম্প-৯, ব্লক- বি/১৪ এর আনোয়ারা বেগম; ক্যাম্প-১০, ব্লক-এফ/১০ এর সেলিনা খাতুন; ক্যাম্প-১০, ব্লক-এফ/১০ এর আবু মেহের; ক্যাম্প-১০, ব্লক-এফ/১০ এর জয়নব বিবি; ক্যাম্প-১০, ব্লক- এফ/১০ এর মো. আবুল কালাম; ক্যাম্প-১৪ এর মো. সালমান এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্যাম্প-১৪, সি/০২ ব্লক এর মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।
মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল থেকে একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গাদের বসবাস হওয়ায় এলাকাগুলো পাহাড়ধসপ্রবণ। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানিয়েছেন, নিহত এক স্থানীয়ের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজার রোববার থেকে একটানা ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছাড়াও কক্সবাজারের কিছু কিছু পাহাড়ি এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রায় ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা, যাদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর নৃশংসতার মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে বসবাস করছে। তাদের অনেকেই ভূমিধসের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করছেন।
ডিজে