রোববার খুলছে শপিংমল—দোকানপাট, চলবে ১০টা থেকে ৫টা

মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে চলমান ‘কঠোর লকডাউনের’ কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের সব ধরণের দোকান-পাট, শপিংমল। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে অবশেষে শর্তসাপেক্ষে রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে খুলছে দোকান পাট-শপিং মল। ওইদিন থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা যাবে।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ২২ এপ্রিল থেকে দোকান ও শপিংমল খুলে দেওয়ার দাবি জানায়।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয় ২২ এপ্রিল থেকে, যা চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এদিকে মার্কেট ও দোকান–পাট খুলে দেয়ার ঘোষণায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। মার্কেট ও দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সরকারকে এজন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ব্যবসায়ীদের অভিমত, ৫ম কিংবা ৬ষ্ঠ রমজান থেকে ঈদের কেনাকাটা শুরু করে দেন ক্রেতারা। কারণ কাপড় কিনে সেটি টেইলরিংয়ের জন্য দর্জির কাছে যেতে হয়। কিন্তু লকডাউনের ধাক্কায় চলে গেলো প্রায় ১২ দিন। তাই মার্কেট খোলার পরপরই বিক্রি বাট্টা যদি বাড়ে, তবে তারা দোকানে মজুদ করা মালামাল বিক্রি করে হলেও কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন।

তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আহমেদ কবীর দুলাল বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই শর্তসাপেক্ষে তার দোকান খুলবেন আগামি ২৫ এপ্রিল থেকে। ঘোষণাটি পাওয়ার পরপরই আমরা মুঠোফোনে নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি। দোকানের অনেক কর্মচারী লকডাউনে বাড়ি চলে গেছেন। তাদেরকে ফোন করে আসতে বলেছি। আশা করছি, আমরা সব সতর্কতা অবলম্বন করেই দোকান খুলে রাখতে পারব।

তিনি আরও বলেন, গতবছরের লকডাউনে করোনার ক্ষতি আমরা পুষিয়ে উঠতে পারিনি। এবার ব্যাংক লোন, আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ধার করে দোকানে মালামাল তুলেছি। তাই আশায় বুক বেঁধে আছি ঈদ মার্কেটে বিক্রি বাড়িয়ে আমরা ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারব।

টেরি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন. আমাদের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে। আমাদের পাইকারি মার্কেট। রমজানের আগে থেকেই আমাদের এখানে বিক্রি শুরু হয়। করোনা সব তচনচ করে দিল। জানি না রমজানের যে কদিন আছে বিক্রি বাট্টা ভালো হবে কি-না।

তিনি বলেন, লকডাউন রেখে মার্কেট খুলে আসলে কতটুকু লাভ হবে ব্যবসায়ীদের তা সবাই জানেন। কিন্তু তারপরও আমরা সরকারের সব শর্ত মেনে নিয়েই দোকান খোলা রাখব।

এদিকে চট্টগ্রামে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮৪৩৭ জনে। নতুন দুই মুত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮২ তে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৪২ নমুনায় ২৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ২৪৪ ও উপজেলায় ৫৪ জন।

আইএমই/কেএস/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!